মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, বিহার, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র এবং উত্তর প্রদেশ – রবিবার (৩১ জুলাই) মোট ৬টি রাজ্যে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিগোষ্ঠীর সম্ভাব্য ১৩টি ঘাঁটিতে তল্লাশি চালালো ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ। এর আগে ২৫ জুন দিল্লিতে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং ইউএপিএ-র বেশ কয়েকটি প্রাসঙ্গিক ধারার অধীনে একটি সুয়োমোটো মামলা নথিভুক্ত করেছিল।
এদিন মহারাষ্ট্রের নান্দেদ এবং কোলাপুরে তল্লাশি চালায় এনআইএ। বেশ কিছু অপরাধমূলক নথি ও উপাদান বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনআইএ। গুজরাটের ভারুচ, সুরাট, নভসারি এবং আহমেদাবাদ জেলায় তল্লাশি চালানো হয়। গুজরাট এটিএস জানিয়েছে, তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে, তদন্তের স্বার্থে এর বেশি কিছু জানাতে চায়নি এটিএস।
এছাড়া, মধ্যপ্রদেশের ভোপাল ও রাইসেন জেলাতেও তল্লাশি চালানো হয়। সূত্রের খবর এই দুই জায়গায় থেকেও বেশ কিছু অপরাধমূলক নথি এবং উপাদান বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই মামলায় আরও তদন্তের প্রয়োজন বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। এর পাশাপাশি বিহারের আরারিয়া জেলা এবং উত্তরপ্রদেশের দেওবন্দ জেলাতেও তল্লাশি অভিযান চালায় এনআইএ।
সূত্রের খবর, যে ১৩টি জায়গায় এই অভিযান চালানো হয়েছে, প্রত্যেকটি জায়গা থেকেই বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তারা সকলেই সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অব ইন্ডিয়া বা এসডিপিআই-এর সঙ্গে যুক্ত বলে সূত্রের দাবি। সব জায়গাতেই প্রায় তিন-চার ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চলে। তল্লাশি অভিযানের পর প্রতিটি জায়গাতেই নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।
গত মাসে পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া বা পিএফআই-এর সঙ্গে জড়িত কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠীর যোগ আছে বলে জানিয়েছিল বিহার পুলিশ। তদন্তের পর ৩ জনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ‘ভারত-বিরোধী’ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এরপরই, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাউন্টার টেররিজম এবং কাউন্টার র্যাডিক্যালাইজেশন বিভাগের আদেশ অনুসারে, বিহার পুলিশের কাছ থেকে এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছিল এনআইএ। গত ২২ জুলাই একটি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছিল।