সোনামুড়া মহাকুমার মেলাঘর কামরাঙ্গাতুলী বাজার সংলগ্ন নদীর দুই পাড়ের মানুষ এ সময়ে তারা কখনো ভাবতে পারিনি গোমতী নদী পার হতে নৌকা ও বাসের সাঁকো উপর নির্ভরশীল হতে হবে। কারণ কামরাঙ্গা তুলী এই এই খেয়াঘাটে তৎকালীন বাম সরকার আমলে সুনামুরা মহকুমার প্রথম ঝুলন্ত শুধু তৈরি করা হয়। কিন্তু প্রকৃতির রুষানলে কামরাঙ্গা তুলির নদীর এপার ওপার মানুষের উপর এত বড় গজব আসবে তা ছিল কল্পনার বাইরে। গত বছর প্রবল বন্যার স্রোতে গোমতী নদীর উপর ঝুলন্ত সেতুটি কে ভেঙ্গে চুরমার করে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।এরপর থেকে ওখানকার মানুষের দুর্দশা শুরু হয়ে যায়। বিশেষ করে বর্ষাকালে নৌকা দিয়ে তাদের পারাপার হতে হয়, আর তখন প্রতিমুহূর্তেই ঝুঁকি আর বিপদ থাকে, বিশেষ করে শীতকালে বাসের একটি সাঁকো থাকার ফলে তাও আবার দুর্বল বাঁশের সাঁকো একটু হলেও তাদের সুবিধা হয়। কিন্তু বর্ষাকালে এ বাসের সাঁকো গোমতির জলে চলে যায়।প্রতিনিয়ত এই খেয়া ঘাট দিয়ে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের যাতায়াত চলে। কথা ছিল বর্ষার তিন মাস পরে এই এই খেয়াঘাটে একটি ফুট ব্রিজ চালু করবে, কিন্তু এখন পর্যন্ত একটি এই খেওয়াঘাটে সেতু নির্মাণ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন বা রাজ্য সরকারের এর কোন মাথা ব্যাথা নেই, কিন্তু এ খেয়াঘাটের নদীর এপার ওপার মানুষের এখন থেকে দুশ্চিন্তা শুরু হয়ে গিয়েছে, কারণ আসছে বর্ষাকাল, আর বর্ষাকালে তারা দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। তাছাড়া খেয়াঘাটে চলাফেরা করতে গেলে তাদেরকে প্রতিনিয়ত টাকা দিতে হয়। এখন নদীর এপার ওপার মানুষের একটাই দাবি সরকার যাতে দ্রুত গতিতে কামরাঙ্গা তুলি খেয়া ঘাটে একটি ফুটব্রিজ চালু করে মানুষের যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দেয়। এখন দেখা যাক, রাজ্য সরকার আগামী দিনে নদীর এপার ওপার মানুষের জন্য কতটা সহানুভূতিশীল হয়।