দুর্গা প্রসন্ন দেব! বর্তমানে রাজধানীর সহ গোটা রাজ্যের একমাত্র আলোচনার বিষয়। দুর্গা প্রসন্ন দেব ওরফে ভিকি তাঁকে হত্যা করতে কিভাবে ছক কষেছিল প্রতিপক্ষ গোষ্ঠী! কিভাবে হত্যার ব্ল প্রিন্ট হয়েছিল! হত্যা কাণ্ডের কোন আঁচ কি করতে পারেননি দুর্গা প্রসন্ন? অবৈধ প্রেমিকাকে বিশ্বাস করাই ছিল দুর্গা প্রসন্নর জিবনে চরম ভুল। প্রেমিকা সুস্মিতা সরকার ছিল দুর্গা প্রসন্ন হত্যা কাণ্ডের জন্য করা স্ক্রিপ্টের অন্যতম চরিত্র। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত দুর্গা প্রসন্ন আঁচ-ই করতে পারেনি তাঁর প্রতিপক্ষ তাঁর-ই সখের প্রেমিকা! কে এই সুস্মিতা সরকার? রাজধানীর ঊষা বাজারের বাসিন্দা সুস্মিতা সরকার সংস্কৃত বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্রী! অল্প বয়সে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকার লোভে অপরাধ জগতের সাথে তাঁর যোগ তৈরি হয়। ঊষা বাজারে কান পাতলে শোনা যায় এই হত্যা কাণ্ডকে খালাস করতেই সুস্মিতাকে দুর্গা প্রসন্নের সাথে ফিট করেছিল রাজু বর্মন গোষ্ঠীর লোক! দুর্গা গোষ্ঠীর সমস্ত তথ্য মোটা অঙ্কের টাকার জন্য রাজু গোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দিত সুস্মিতা! খুন হওয়ার দিনে দুর্গা প্রসন্নের কাছে সন্ধ্যা রাতে ফোন আসে সুস্মিতার! সুস্মিতা দুর্গা প্রসন্নকে বলে তাঁকে শাল বাগান বি এস এফ পাড়া থেকে আমতলি নিয়ে যেতে! দুর্গা প্রসন্ন প্রেমে অন্ধ ছিলেন। তাই পেছনের চিন্তা না করেই সে ছুটে যায় সেখানে। সুত্রের খবর দুর্গা প্রসন্ন সেখানে যাওয়ার জন্য একটি গাড়ি ভাঁড়া করে। এদিন দুর্গা প্রসন্নের সাথে তাঁর চালকও ছিল। গাড়ির চালকে সাথে নিয়েই দুর্গা সেখানে যায়। সেখানে গিয়ে দুর্গা সম্পুর্ন এড্রেস জানার জন্য সুস্মিতাকে পুনরায় ফোন করলে সুস্মিতা নাকি জানায় সে যাবে না, আর তাঁকে ২০০০ টাকা দেওয়ার জন্য। সুস্মিতার কথা অনুসারে ভিকি তথা দুর্গা প্রসন্ন সুস্মিতাকে ২০০০ টাকা দেওয়ার জন্য রাজি হয় এবং গাড়ির চালককে দিয়ে ২০০০ টাকা সুস্মিতার কাছে পাঠায়। ততক্ষন দুর্গা প্রসন্ন গাড়িতেই বসে ছিল। গাড়ির চালক সুস্মিতাকে টাকা দিয়ে পুনরায় গাড়িতে চলে আসে। আচমকা দুর্গা প্রসন্নের গাড়ির কাচে কেউ একজন নক করছিল। গাড়ির কাচ খুলছিল না বলে দুর্গা প্রসন্ন নিজে গাড়ির দর্জা খুলে বাইরে নেমে আসে এবং সঙ্গে সঙ্গেই বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যাক্তিটিকে চিনতে পেরে যায় ভিকি। এবং একটি গালি দিয়ে সেই ব্যাক্তির গলায় ধরতে গেলেই পাশ থেকে অপর একজন এসে দুর্গা প্রসন্ন কে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। প্রথম গুলি মিস হলেও পরের তিনটি গুলি সোজা দুরজ্ঞা প্রসন্নর মাথায় লাগে। এদিকে গাড়ির চালক নিজের জীবন বাচাতে সেখান থেকে গাড়ি টেনে সোজা চলে আসেন এয়ারপোর্ট থানায়। সুতেরর খবর এয়ারপোর্ট থানায় এসে গারির চালক ভয়ে মাটিতে পড়ে যান। এবং বলতে থাকেন “আমারে বাচান স্যার ,আমারে বাচান” ততক্ষনে এয়ারপোর্ট থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা বুঝতে পেরে গেছিলেন যে কিছু একটা হয়েছে। এদিকে পরপর তিনটি গুলির আঘাতে দুর্গ প্রসন্ন ঘটনা স্থলেই লুটিয়ে পরে। দুর্গা প্রসন্ন হত্যা কাণ্ডের এই স্ক্রিপ্ট আগে থেকেই লেখা ছিল। দুর্গা কিভাবে এই এলাকায় আসবে কিভাবে তাকে খালাস করতে হবে। সুত্র বুলছে সবটাই হয়েছে জেল থেকে মুক্তি পাওয়া অমিত ঘোষের স্ক্রিপ্টে। গোটা ঘটনার নেপথ্যেই নাকি রয়েছে অমিত ঘোষ! অমিতের কোলকাতা স্থিত বাগুইআটি ফ্ল্যাটে বসেই লেখা হয়েছে দুর্গা প্রসন্ন হত্যার স্ক্রিপ্ট। সুত্রের খবর হত্যার মুহুর্তের গোটা ঘটনার কথা থানায় স্বীকার করেছে গাড়ির চালক। পুলিশ ইতিমধ্যেই দুর্গার প্রেমিকা সুস্মিতা সরকারে জালে তুলতে সক্ষম হয়েছে। জানা গেছে হত্যার দিনে সুস্মিতা অসংখ্যবার দুর্গা প্রসন্ন এবং রাজু ঘোষের সাথে মোবাইলে কথা বলেছে। এবং দুর্গা-কে উক্ত এলাকায় নিয়ে আসার এই স্ক্রিপ্ট লিখেছে সে নিজেই। এখন এতাই দেখার পুলিশ মুল অভিযুক্ত রাজু বর্মন এবং বিমান দাসকে জালে তুলতে কতটা সক্ষম হয়।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous post পুলওয়ামার ছায়া পুঞ্চে! বায়ুসেনার কনভয়ে জঙ্গি হামলায় শহিদ ১ জওয়ান, আহত ৫
Next post RCB vs GT: অসুস্থ মহম্মদ সিরাজই ম্যাচের সেরা, জানালেন ‘রাতের আপডেট’
%d bloggers like this: