ঘৃণা ভাষণ সংক্রান্ত একাধিক মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলাগুলিরই শুনানি ছিল শুক্রবার। আর সেই সময়ই শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, ঘৃণাভাষণ দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তিকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। তাই এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতেই হবে। বিচারপতি কে এম জোসেফ ও বিচারপতি বি ভি নাগারত্নর বেঞ্চ তাদের রায়ে জানিয়েছে, ”আমরা এটা পরিষ্কার করে দিতে চাই যে, এই ধরনের পদক্ষেপের সময় যেন কোন ধর্মের মানুষ এই ভাষণ দিচ্ছে তা দেখা না হয়।” সেই সঙ্গে বেঞ্চ এও জানিয়েছে, ”বিচারপতিরা অরাজনৈতিক এবং কোনও পার্টি এ বা পার্টি বি নিয়ে তাঁরা চিন্তিত নন। একমাত্র ভারতীয় সংবিধানকেই মাথায় রাখা হয়।”এর আগেও সুপ্রিম কোর্ট ঘৃণাভাষণ নিয়ে কড়া পর্যবেক্ষণ জানিয়েছিল। গত মার্চে বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল, ‘‘ঘৃণাভাষণ সংক্রামক ব্যধির মত। যে মুহূর্তে রাজনীতি আর ধর্ম, পরস্পরের ঘেরাটোপ মুক্ত হবে, সেই মুহূর্তে ঘৃণা ভাষণের প্রবণতারও ইতি হবে। যে মুহূর্তে রাজনীতিবিদরা কথায় কথায় রাজনীতিতে ধর্মকে টেনে আনবেন না, সেই মুহূর্তে ঘৃণা ভাষণ বন্ধ হবে।”

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous post কুস্তিগীরদের লড়াই ফলপ্রসূ! ব্রিজভূষণ সিংয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করবে দিল্লী পুলিশ
Next post বিলোনিয়ার লাউগান এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানোর দাবিতে ডেপুটেশন
%d bloggers like this: