দুরারোগ্য থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ১২ বছরের সন্তান। ছেলের চিকিৎসার খরচে গাড়ি-ফ্যাক্টরি বিক্রি করে সর্বস্বান্ত পিতা। শেষ সময় অসহায় সেই পরিবারের কাছে ফেরেশতা হিসেবে এলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর সান্নিধ্যে এসে ছেলের চিকিৎসার সুযোগ পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আশীর্বাদে ভাসালেন অসহায় পিতা। চড়িলাম বাজার সংলগ্ন দিলীপ চৌধুরীর ১২ বছরের ছেলে দীপজিত দুরারোগ্য থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। 16 মাস বয়স থেকেই ছেলের চিকিৎসায় নিজের গাড়ি ফ্যাক্টরি বিক্রি করে আজ প্রায় সর্বশান্ত দিলীপ চৌধুরী। এই এলাকা থেকে উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেব্বর্মা বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তৎকালীন সময়ে স্থানীয় নেতাদের অনেক অনুরোধ করেছিলেন এই অসহায় পিতা, একটি বারের জন্য উপমুখ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তা হয়নি। বর্তমানে নিজের সবকিছু বিক্রি করে সর্বস্বান্ত দিলীপ চৌধুরী আত্মীয় পরিজনদের সহযোগিতায় ছেলের চিকিৎসা এবং তৎসঙ্গে সংসার প্রতিপালন করছেন । এর মধ্যে রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডক্টর মানিক সাহার ‘মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু’ সূচক সাধারণ মানুষের সাথে সাক্ষাৎকার প্রকল্পের কথা শুনেন চলিলামের দিলীপ চৌধুরী। আর সে কথা শুনে তড়িঘড়ি ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রীর দরবারে। মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা মনোযোগ সহকারে অসহায় এই পিতার করুন কাহিনীর কথা শুনেন।তারপর দীপজিতের চিকিৎসার সমস্ত দায়ভার নিজে গ্রহণ করেন। আমেরিকার এক প্রখ্যাত চিকিৎসকের পরামর্শ নেবার সুবন্দোবস্ত করে দেন, তার পাশাপাশি দীপজিতের বোন-মেরো ট্রান্সপ্লান্ট এর জন্য আর্থিক সহযোগিতা হেতু কেন্দ্র সরকারের থ্যালাসেমিয়া রোগীদের বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে ১৫ লক্ষ টাকার সহযোগিতাও পৌঁছে দেন মুখ্যমন্ত্রী। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই সহযোগিতায় যেন নিজ সন্তানের পুনর্জন্মের আশা খুঁজে পেলেন চরিলামের দিলীপ চৌধুরী। করজোড়ে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রাণভরা আশীর্বাদ জানালেন দিলিপ বাবু।