প্রাকৃতিক পরিস্থিতি এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি কখনো এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে না।
পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী পেছনে তাকালে তা থেকে অনেক কিছু জানা যায়।তার জ্বলন্ত প্রমাণ, সোনামুড়া মহাকুমার অন্তর্গত নলচর বিধানসভা এলাকা।
একটা সময়তে সন্ত্রাসের আঁতুর ঘর ছিল। রাজনৈতিক দলের কান্ডারীরা যাদেরকে সন্ত্রাস করার জন্য মদ দিয়েছিল তারা এখন সমাজের কর্ণদার হয়ে গাড়ি বাড়ি আরো অনেক কিছু নিয়ে ভোগ বিলাসে দিন অতিবাহিত করছে। কিন্তু যারা মানুষের ঘর বাড়ি ভেঙেছে, যারা মানুষকে ধমকি হুমকি দিয়েছে, ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে বাধা দিয়েছে, উন্নয়নের কাজে তোলাবাজি করেছে এখন তারা চুপচাপঃ— প্রচন্ড হতাশাগ্রস্ত, মনে মনে ভাবছে ভুল করেছি। এমনটাই দৃশ্য ফুটে উঠলো নলছড় বিধানসভা এলাকার শিবনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে। রবিবার সকাল থেকে বারোটা অব্দি বামপন্থী বেশ কিছু কর্মী গ্রামে গিয়ে বাড়ি বাড়ি জনসংযোগ কর্মসূচি এবং সংগঠন করার জন্য আর্থিক সাহায্য চাইছিলেন। এতে মানুষের মধ্যে যথেষ্ট সারা পরিলক্ষিত হয়েছে বলে দাবি করেন বামপন্থীরা। তাদের কাছে মানুষ অভিযোগ করেন যে, বিগত ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। তার আগে বিধানসভা নির্বাচনে ও একই অবস্থা ছিল। আপনারা এসেছেন ভালো কথা! উঠোনে না দাঁড়িয়ে একটু ঘরে গিয়ে বসুন। বিগত সাত বছরে মনের দুঃখ জ্বালা যন্ত্রণা অনেক জমে আছে, কথা বলার মানুষ পাচ্ছি না। আপনারাও আসেন না, কাজেই আপনারা মানুষের সাথে নতুনভাবে সুসম্পর্ক গড়ে তুলুন। আমরা আছি কোন চিন্তা করবেন না।শিবনগর থেকে ফিরে এসে একান্ত সাক্ষাতে সংবাদ কর্মীদের কাছে জানান, সুবল দেবনাথ, হারাধন দেববর্মা, শংকর দাস, সঞ্জীত দাস ও চান মিয়া সহ বেশ কয়েকজন।সংবাদ কর্মীকে তারা আরো জানিয়েছেন, নলচর বিধানসভা এলাকায় এখন আগের মত নেই। যারা শাসকদলের মধ্যেতে সাধারণ মানুষের উপর সন্ত্রাস নামিয়ে এনেছিল এরাই এখন প্রচন্ড হতাশাগ্রস্থ। মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে যথেষ্ট সাড়া দিয়েছেন এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে নাকি আর্থিক সাহায্য করেছেন স্বেচ্ছায়। এমনটাই বামপন্থী নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন।