নারীদের সমান অধিকার ভিত্তিক আত্মনির্ভর কেন্দ্রিক করে গড়ে তুলতে পারলেই সমাজে নারীদের সম্মান ও মর্যাদা বিশেষ গুরুত্ব পাবে। আর নারীদের প্রতি সন্মান বৃদ্ধি পেলেই দেশ ও সমাজ এগিয়ে যেতে থাকবে। কারণ এই পৃথিবীর যা কিছু সৃষ্টি তার অর্ধেক করেছে পুরুষ এবং অর্ধেক নারী।তাই পুরুষ এবং নারী যদি থাকে তাহলেই এই পৃথিবীর অস্তিত্ব বজায় থাকবে।কিন্তূ বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায়ও কিছু কিছু ক্ষেত্রে আজও নারীরা অবহেলিত এবং লাঞ্ছিত হয়ে আসছে।তার অনেক ক্ষেত্রে অবশ্য একজন নারীই অপর একজন নারীর ক্ষেত্রে দ্বায়ী থাকে। যেমন শ্বাশুড়ি বৌমার ঝগড়া অনেক ক্ষেত্রে গার্হস্থ্য হিংসার রূপ নিয়ে থাকে।তাই এখন সময় এসেছে আমাদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে যে আমাদের ঘর থেকেই নারী পুরুষের বৈষম্য দূর করে স্কুল কলেজের গণ্ডি পর্যন্ত এই সংস্কারকে বহন করে নিয়ে যেতে হবে।তাহলেই আগামীদিনে সমস্ত রকম বৈষম্য দূর হয়ে সমাজে নারীদের বিশেষ মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে।তারজন্য নিজ নিজ পরিবার থেকেই এই সংস্কার তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি।বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে সামনে রেখে তেলিয়ামুড়া পুর পরিষদ ও তেলিয়ামুড়া NP ICDS প্রজেক্টের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এভাবেই নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী সাহা রায়। উল্লেখ থাকে যে,আগামী ৮ ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস।তাই এই দিবসকে সামনে রেখেই এইদিন অঙ্গনোওয়ারি কর্মীদের নিয়ে তেলিয়ামুড়া নেতাজিনগরস্তিত কমিউনিটি হলে এক অনুষ্টানের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়।এদিনের অনুষ্টানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মুখ্য সচেতক কল্যাণী সাহা রায়।এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তেলিয়ামুড়া পুর পরিষদের চেয়ারম্যান রূপক সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান মধুসুধন রায়, সিডিপিও সুবিনয় ভৌমিক, তেলিয়ামুড়া তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের ICA অফিসার মিঠুন দত্ত, বিদ্যালয় পরিদর্শক বিশ্বজিৎ দেববর্মা সহ স্থানীয় পুর কাউন্সিলরগণ।