রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ আগামী ২রা মার্চ! ইতিমধ্যেই দ্বাদশ বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। মানুষের রায় এখন বাক্স বন্দী। ভোটের আগে রাজ্যের সবকটি রাজনৈতিক দলই নিজেদের ভাবধারাকে সাধারন মানুষের কাছে পৌঁছে দেবার জন্য মাঠে ঘাটে প্রচারে নেমে পড়েছিলেন। মানুষ তাদের চিন্তা চেতনা থেকে নিজেদের রায় ভোট বাক্সে দিয়েছেন। শাসক শিবির হোক আর বিরোধী শিবির প্রত্যেকের কপালেই এখন চিন্তার ভাঁজ।
কি হতে পারে এই নির্বাচনের ফলাফল? কোন দিকে গেছে রাজ্যের মানুষের রায়? পাঁচ বছরের সাথে আগের পঁচিশ বছরের তুলনায় কি মানুষ তাদের রায় দিয়েছেন নাকি প্রচার অভিমুখে নিজেদের রায় কে ভোট বাক্সে প্রতিফলিত করেছেন তা স্পষ্ট হবে ২রা মার্চ।
কিন্তু ইতিমধ্যেই রাজ্যে এক অভূতপূর্ব প্রচার শুরু হয়ে গেছে। এক পক্ষ আরের পক্ষের বিরুদ্ধে এই প্রচার অস্ত্র চালাচ্ছে। কোন বিশেষ কাজে যদি কোন রাজনৈতিক দলের নেতারা বহিঃ রাজ্যের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাচ্ছে তাহলে সেটাকে ভয়ে রাজ্য ছাড়ার জমা পড়িয়ে সামাজিক মাদ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে! আর এই বিষয়টির স্বীকার হয়েছেন অনেক রাজনৈতিক নেতা-ই। রতন চক্রবর্তী, অভিষেক দত্ত, বীরজিৎ সিনহা সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এই প্রচার অস্ত্রের শিকার হয়েছেন।
শুধু এই প্রচার অস্ত্র-ই নয়। সামাজিক মাধ্যমে আরও এক অভিনব কায়দায় প্রচারের ঝড় দেখা গেছে ইদানিং কালে। সোশ্যাল সাইটে হঠাৎ-ই ভেসে আসে ২রা মার্চ রাজ্য ছাড়ছেন মন্ত্রী রাম প্রসাদ পাল, এবং প্রমান হিসেবে একটি জালি এয়ার টিকিট সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। যা নিয়ে পরবর্তী সময় মন্ত্রী নিজে নিজেদের সামাজিক মাধ্যমে স্পষ্টীকরণ দিয়েছেন। এরপর থেকেই একে একে শুরু হয় জালি এয়ার টিকিট বানানো। কখনও জিতেন্দ্র চৌধুরী তো আবার কখনও সুদীপ রায় বর্মন। কিন্তু প্রশ্ন এই প্রচার অস্ত্র যে ভবিষ্যতের জন্য এক ভয়ঙ্কর অনশনি সংকেত দিচ্ছে তা কিন্তু অনেকেই বুঝেও না বোঝার ভান করছেন।
যাই হোক সর্বোপরি জনতার রায়ে কি রয়েছে তা দেখার জন্য সকলেই উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন।