তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি :- বন্য দাতাল হাতির উন্মুক্ত তাণ্ডবে অতিষ্ঠ জনজীবন। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজনদের পাশে নেই বনদপ্তর। বারবার বন দপ্তরকে জানিয়েও বনদপ্তরের অকর্মণ্যতার ফলে হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষজনেরা বর্তমানে বঞ্চিত সরকারি সাহায্যটুকু থেকেও। ঘটনা তেলিয়ামুড়া মহকুমা বনদপ্তরের অধীন বালুছড়া সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকায়। জানা যায়, শুক্রবার গভীর রাতে জঙ্গল থেকে বন্য দাঁতাল হাতির দল বেরিয়ে এসে বালুছড়া এলাকায় উন্মুক্ত তাণ্ডব চালায়। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়িঘর, নষ্ট করে দেয় ঘরে মজুদ থাকা ধান সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র। কিন্তু হাতির আক্রমণের খবর বারবার ফোন যুগে বন দপ্তরকে জানিও বন দপ্তরের তরফ থেকে কোন সাহায্য পৌঁছায়নি বালুছড়া এলাকায়। এলাকায় হাতির আক্রমণের ঘটনা ঘটে যাওয়ার প্রায় ১২ ঘন্টা অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও তেলিয়ামুড়া মহকুমা বন দপ্তরের তরফে কোন সাহায্য পৌঁছায়নি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের কাছে। এমনটাই অভিযোগ করে জানানো হয় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তরফে।

এখন প্রশ্ন! তেলিয়ামুড়া মহকুমা আধিকারিক সাবিরকান্তি দাসের তত্ত্বাবধানে লক্ষ লক্ষ টাকা সরকারি অর্থ ব্যয় করে হাতি তাড়ানোর নামে তাহলে কি করেছে তেলিয়ামুড়া মহকুমা বন দপ্তর? তাহলে কি হাতি সমস্যা দূরীকরণের নামে যে লক্ষ লক্ষ টাকা সরকারি অর্থ ব্যয় করা হয়েছে, তার কোন ফল প্রকাশ হয়নি? যদি এমনটাই হয়ে থাকে তাহলে কেন আজও হাতির আক্রমনে নাজেহাল তেলিয়ামুড়া মহাকুমা বনদপ্তরের অধীন বিভিন্ন এলাকার জনজীবন! অন্যদিকে হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোর কোন উদ্যোগ নেই লাট সাহেব তেলিয়ামুড়া মহকুমা বন আধিকারিক সাবিরকান্তি দাসের। সূত্রের খবর, মহকুমা বন আধিকারিক সাবিরকান্তি বাবু হাতির সমস্যা দূরীকরণের নামে নিজের পকেট ভারি ছাড়া আর কিছুই করছে না।
হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের এক সদস্য জানায়, বর্তমানে বন্য দাতাল হাতির আক্রমণের ভয় তাদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। একাধিকবার তেলিয়ামুড়া বন দপ্তরকে জানিয়েও কাজ কিছুই হচ্ছে না। এলাকায় বহুবার বন্য দাঁতাল হাতির আক্রমণ সংঘটিত হয়েছে। সাহায্যের জন্য বন দপ্তরকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়েও মেলেনি কিছুই। উল্টো বনদপ্তরের তরফে জানানো হয় জঙ্গলের পাশে বাড়ি ঘর থাকলে হাতির আক্রমণ হবেই, এ ব্যাপারে কোন সাহায্য করতে পারবে না।
হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি চাইছে সরকারি সাহায্য। এখন এটাই দেখার বিষয় কবে নাগাদ লাট সাহেব মহকুমা বন আধিকারিক সাবিরকান্তি দাসের টনক নড়ে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলির কাছে পৌঁছায় সরকারি সাহায্য।।