” বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে”– কথাটি যেমন বাস্তব সত্য ঠিক তেমনি বর্তমান সময়কালে বনের কিছু পশু পাখিরা বন ধীরে ধীরে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ফলে লোকালয়ে চলে আসছে। তেলিয়ামুড়ায় হাতির সমস্যার সঙ্গে মানুষজনদের নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। ঠিক সেরকম ভাবেই তেলিয়ামুড়ায় অপর আরেকটি বন্যপ্রাণীর সমস্যা রয়েছে। সেটি হলো “বানর”। বানরের সমস্যা নিরশনে বনদপ্তর উদ্যোগ গ্রহণ করলেও প্রায় প্রত্যেকদিন বনদপ্তরের উদাসীনতায় বানরের মৃত্যু ঘটছে। তা দুর্ঘটনাই হোক কিংবা সাধারণ মানুষ জনদের রোষানলে পড়ে। “বানর” ইদানীং কালে সাধারণ মানুষ জনদের ব্যাপক হয়রানি করছে। কখনো কখনো বাড়ি ঘরে প্রবেশ করে মানুষ জনদের মূল্যবান সামগ্রী, খাদ্যবস্ত ইত্যাদি নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। তো আবার কখনো দলবেঁধে মানুষজনদের উপর হামলাও চালাচ্ছে। বনদপ্তর থেকে বানর তাড়ানোর উদ্দেশ্যে তেলিয়ামুড়া পৌর এলাকার উপর একটি দল গঠন করে দেওয়া হয়েছিল। যদিও সেই দলটি শুধুমাত্র কাগজে-কলমে দেখা গেলেও পৌর বাসীরা বানর তাড়ানোর কাজে তেমন ভাবে প্রত্যক্ষ করে না।
আর বানর তাড়ানোর কাজে নিযুক্ত কর্মীদের উদাসীনতায় এবং বনদপ্তরের খামখেয়ালীর ফলে মঙ্গলবার তেলিয়ামুড়া গৌরাঙ্গটিলা এলাকায় কে বা কাহারা একটি বানরকে নৃশংসভাবে গলায় দড়ি বেঁধে মেরে নোংরা আবর্জনার সঙ্গে ফেলে রেখে চলে যায়। পরবর্তীতে এলাকার সচেতন মানুষজন সহ পশু প্রেমীরা ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করে এবং বন কর্মীদের ঘটনার খবর পাঠায়। অন্যদিকে,, একই দিনে বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে এসে তেলিয়ামুড়া থানা সংলগ্ন দশমীঘাট রাস্তার উপর একটি দৈত্যাকার বানর মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এই ঘটনাটির প্রত্যক্ষ করে পথ চলতি সাধারণ মানুষজন ধীরে ধীরে জড়ো হয় ঘটনাস্থলে। পরবর্তীতে ঘটনার খবর পাঠানো হয় তেলিয়ামুড়া বনদপ্তরের কর্মীদের। তেলিয়ামুড়া বনদপ্তরের কর্মীরা ঘটনার খবর পেয়ে প্রায় ঘন্টাখানেক পর ঢাল তরল বিহীন নিধিরাম সর্দারের মতো সামান্য একটি প্লাস্টিকের বস্তা নিয়ে বানর হতে চলে আসে। পরবর্তীতে বানরটিকে না ধরতে পেরে পুনরায় বনদপ্তর থেকে একটি লোহার খাঁচা নিয়ে এসে বানরটিকে ধরা হয় এবং চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বনদপ্তরের কার্যালয়ে। যদিও প্রায় ঘন্টা দেড়েক সময় ধরে রাস্তার পাশে যন্ত্রণায় ছটফট করছিল ওই দৈত্যাকার বানরটি। তবে বনদপ্তর যদি সঠিক সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছতো তোবা রাস্তার পাশে পড়ে ছটফট করতে হতো না ওই দৈত্যাকার বানর টিকে।
তবে যাই হোক, তেলিয়ামুড়া বাসী চাইছে তেলিয়ামুড়া থেকে বানরের যেন চিরতরে ঘুছে যায়। তবে সেক্ষেত্রে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে বনদপ্তরকে।
অন্যদিকে এভাবে নৃশংসভাবে বানর হত্যার ঘটনাকে মোটেও ভালো চোখে দেখছে না পশুপ্রেমী মহল।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous post নির্বাচনের আগে বোমা উদ্ধারের ঘটনা যেন নিত্য দিনের ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে
Next post প্রধানমন্ত্রীর মায়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী
%d bloggers like this: