বামেদের পাপের ফল ভুগছে বিজেপি পরিচালিত ত্রিপুরার রাজ্য সরকার। শিক্ষাক্ষেত্রকে বামেরা নিজেদের মতো করে ব্যবহার কিংবা শিক্ষা দপ্তরের গাইড লাইনকে উপেক্ষা করে নিজ দলের কর্মীদের দুধে ভাতে রাখতে নিজেদের মতো করে অবৈজ্ঞানিক ভাবে শিক্ষা দপ্তরকে দীর্ঘ বছর চালিয়ে যাওয়ার এমনই এক চিত্র ফের প্রকাশ্যে এলো। কৈলাসহর মহকুমায় ছাত্র ছাত্রীদের অভাবে চারটি সরকারি স্কুল বিগত এক বছর ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে। এব্যাপারে ঊনকোটি জেলা শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক প্রশান্ত কিলিকদারকে জিজ্ঞেস করলে উনিও স্বীকার করে জানান যে, কৈলাসহর মহকুমার অধীনে থাকা মুরইবাড়ী উচ্চ বুনিয়াদি বিদ্যালয়, উত্তর শ্রীরামপুর নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়, দশরথ পাড়া জুনিয়র বেসিক বিদ্যালয় এবং মুসলিম পল্লী জুনিয়র বেসিক বিদ্যালয় এই চারটি বিদ্যালয়ে বিগত দুই বছর ধরে স্থানীয় ছাত্র ছাত্রীরা ভর্তি না হবার ফলে স্কুল গুলো নন ফাংশনাল হয়ে রয়েছে। এরফলে এই চারটি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের পাশ্ববর্তী স্কুলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে ঊনকোটি জেলা শিক্ষা আধিকারিক প্রশান্ত কিলিকদার নিজেই জানিয়েছেনবন্ধ চারটি সরকারি স্কুলের পাকা দালান বাড়ি গুলো ধীরে ধীরে ভেঙ্গে যাচ্ছে এবং স্কুলের ভালো ভালো আসবাবপত্র গুলো যে যার মতো করে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে, এই চারটি বন্ধ সরকারি স্কুলের মধ্যে দশরথ পাড়া জুনিয়র বেসিক স্কুলটিতে স্থানীয় গৃহহীন দুই পরিবারের সদস্যরা বসবাস করছে। অন্যদিকে, এই চারটি সরকারি স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবকদের সাথে আলোচনা করে জানা যায় যে, মুলত বন্ধ হওয়া স্কুল গুলোর পাঁচশো থেকে ছয়শো মিটারের মধ্যেই ভালো পরিসরে বড় দালান বাড়ি তৈরি করা সরকারি স্কুল রয়েছে। এবং সেইসব স্কুল গুলোতে নিয়মিত ভাবে ভালো পরিবেশে দায়িত্বশীল শিক্ষক শিক্ষিকারা ছাত্র ছাত্রীদের পাঠদান দিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, সেইসব স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা ছাত্র ছাত্রীদের নিয়মিত ভাবে খেয়াল রাখেন বলেও জানান। মূলত, দীর্ঘদিন ধরে বামেরা শাসন ক্ষমতায় থেকে নিজেদের মতো করে প্রশাসন সহ সমস্ত সরকারি সুযোগ সুবিধা গুলো নিজেদের দলের কর্মীদের মধ্যে বন্টন করাই ছিলো আসল উদ্দেশ্য। বামেরা তাদের দলের কর্মীদের সরকারি টাকায় ভরনপোষণ দেবার জন্য সম্পুর্ন অনৈতিক ভাবে এবং অবৈজ্ঞানিক ভাবে নিজের দলের কর্মীদের জায়গায় সরকারি স্কুল নির্মান করে নিজ দলের কর্মীদের সেই স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা কিংবা অন্যান্য পদে নিয়োগ করে দিতো। এরফলে সরকারি কোষাগার থেকে বছরে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হতো। তাতে সরকারের যাই হোক না কেন, নিজ দলের কর্মীরা নিজেদের আয়ত্ত্বে রেখে দলের অনুশাসনের বিরুদ্ধে কোনো অবস্থাতেই যেতে পারতো না বলেই অনেকেরই অভিমত। রাজ্যে ২০১৮সালে বিজেপি দলের সরকার প্রতিষ্ঠার পর বিশেষ করে ২০২৩সালে মূখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার নেতৃত্বে সরকার প্রতিষ্ঠার পর স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নিয়ে রাজ্যবাসীর প্রকৃত কল্যানে কাজ করে যাচ্ছে। মানিক সাহা মূখ্যমন্ত্রী হবার পর একের পর এক বামেদের অনৈতিক কাজ গুলো প্রকাশ্যে আসছে। এরই ফলশ্রুতিতে কৈলাসহর মহকুমার অধীনে থাকা সরকারি চারটি স্কুলের দৈন্যদশা প্রকাশ্যে এসেছে। বামেরা কিংবা বামদের ছাত্র সংগঠন এবং বামেদের যুব সংগঠনের পক্ষ থেকে বিজেপি সরকারের আমলে ত্রিপুরা রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা একেবারেই তলানিতে চলে গেছে গেছে বলে রাজ্যব্যাপী প্রচার করলেও প্রকৃতপক্ষে বামেদের আমলে ত্রিপুরা রাজ্যে সম্পুর্ন অনৈতিক ভাবে এবং অবৈজ্ঞানিক ভাবে শিক্ষা দপ্তর পরিচালনার খেসারত বিজেপি সরকারকে দিতে হচ্ছে এটা কি বামেরা কিংবা বামেদের অংগ সংগঠন স্বীকার করবে কি?