ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষ্যত কি বিদ্যা একশ্রেণীর ব্যাবসায়ীদের হাতে ? তাদের এই ব্যাবসা কতটুকু বৈধ তা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে । বহিঃ রাজ্যের কলেজগুলোতে ভর্তির নামে বিলোনিয়াতে চলছে কাউন্সিলিং। যা একেবারে পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রী থেকে শুরু করে অভিভাবকদের মগজ ধোলাই। মগজ ধোলাই খেয়ে ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যত চিন্তা করে অভিভাবকরা সঞ্চয়ের টাকা বিদ্যা ব্যাবসায়ীদের হাতে তুলে দেওয়ার পর অনেক সময় প্রতারনার শিকার হতে হচ্ছে। এমন অনেক ঘটনা রাজ্যে নেহাত কম নয়। কোন বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বিভিন্ন অলিতে গলিতে ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবকদের কাউন্সিলিং এর নামে মগজ ধোলাই হচ্ছে । এমনই একটি মগজ ধোলাই এর ঘটনা ঘটলো বিলোনিয়া অগ্নিবীণা কমিউনিটি হলে । জানা যায় কলকাতা বারাসাতের ব্রেইন ওয়ার ইউনিভার্সিটি নাকি অগ্নিবীণা কমিউনিটি হলে কিছু সংখ্যক ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের নিয়ে কাউন্সিলিং এ বসেছে । বিলোনিয়ার দুই যুবক কানাই ভৌমিক এবং সৌরভ ভট্টাচার্য্য এই ধরনের বিদ্যা ব্যবসার প্রতারণার সাথে জড়িত বলে নাম উঠে আসছে। এর বিরুদ্ধে নিরব রয়েছে প্রশাসন এবং শিক্ষা দপ্তর। বৈধভাবে এই ধরনের বিদ্যা ব্যবসা করতে গেলে কোন সংস্থা বা ব্যক্তিকে কনসালটেন্সির অনুমতি পত্র, ট্রেড লাইসেন্স সোসাইটি অল ফায়ার এর কাগজপত্র, কলেজের পার্টনারশিপ দিলে তার কাগজপত্র ইত্যাদি প্রয়োজন। কিন্তু এদের কাছে এই ধরনের কোন বৈধ কাগজপত্র নেই। কাউন্সিলিং এ আসা এক ছাত্রীর সাথে কথা বলে জানা যায় এই কলেজে পড়াশোনা করলে চাকরির টোপ দেওয়া হচ্ছে। সেই সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়তে গেলে আলদা আলদা ভাবে কোথায় কত লক্ষ টাকা লাগবে তা জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ন্যূনতম ৪ লক্ষ টাকার বেশি দিয়ে শুরু হয় যার সর্বোচ্চ সীমা ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত যেতে পারে। এছাড়াও ইচ্ছুক প্রার্থীদের তিনদিনের সময়সীমা দিয়ে দেওয়া হয়েছে । প্রথম অবস্থায় সিট পেতে গেলে তিন দিনের মধ্যে পাঁচ হাজার টাকা জমা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে নেওয়ার কথা বলেন। এইভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের বোকা বানিয়ে অর্থ লুটে নেওয়ার ফন্দি এঁটেছেন বিলোনিয়ার কানাই ভৌমিক এবং সৌরভ ভট্টাচার্য্য এই দুই যুবক। এক শ্রেণীর শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন মহল থেকে এই বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো হচ্ছে। কারণ এক সময়ে এ রাজ্যে এই ধরনের বিদ্যা ব্যবসা জাকিয়ে বসেছিল। এরই মধ্যে বেশ কয়েক বছর বন্ধ থাকার পর তা আবার শুরু হতে চলছে। এখন দেখার বিষয় প্রশাসন কিংবা শিক্ষা দপ্তর এই ধরনের বিদ্যা ব্যবসার সাথে জড়িত সংস্থা এবং ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে কিনা। যদিও এই ব্রেন ওয়ার ইউনিভার্সিটির এক সদস্য জানান এখানে ভর্তির জন্য কোন চাপাচাপি করা হয় না। শুধুমাত্র কি কি বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করলে চাকরি পাবে তার জন্যই কাউন্সিলিং।