নারিকেল কুঞ্জ রাস্তা নির্মাণে দুর্নীতি, ঠিকাদারের কাজে ক্ষোভ সোসাইটি। ধলাই জেলার প্রত্যন্ত গন্ডাছড়া মহকুমা এলাকার নারিকেল কুঞ্জ রাজ্যের একটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। ডম্বুর জলাশয়ের দ্বীপে গড়ে ওঠা নারিকেল কুঞ্জ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর যা পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয়। বর্তমান রাজ্য সরকার নারিকেল কুঞ্জ’কে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। সেখানে ইতিমধ্যেই গড়ে তোলা হয়েছে হেলিপ্যাড গ্রাউন্ড থেকে শুরু করে লগ হাট, বিভিন্ন সুস্বাদু রকমারি খাবারের রেস্টুরেন্ট, রয়েছে একাধিক স্পিডবোট। নারিকেল কুঞ্জ পর্যটকদের রাত্রিযাপনের জন্য ২৩টি লগ হাট বা কুঁড়েঘরের মধ্যে ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহার হাত ধরে ১৫ টি উদ্বোধন হয়ে গেছে। বাকি আরো ৮টি কুঁড়েঘরের কাজ চলছে। পর্যটন দপ্তরের আর্থিক সহায়তায় একের পর এক প্রকল্প হাতে নিয়ে নারিকেল কুঞ্জ কে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সঠিক নজর দাড়ির অভাবে উন্নয়নমূলক কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদাররা দুই নম্বরী কাজ করে যাচ্ছে। এমনকি সোসাইটিকে কোন কিছু না জানিয়ে তারা মর্জি মাফিক কাজ করে যাচ্ছেন এমনটাই অভিযোগ সোসাইটির এক কর্মকর্তার। তিনি জানান বহিরাজ্যের এক ঠিকাদার যারা লগ হাট নির্মাণ করছেন তারাই নারিকেল কুঞ্জে পেভার ব্লক রাস্তা তৈরি করছেন। তিনি আরো জানান ঠিকাদার রাস্তা নির্মাণে দুই নম্বরী ইট এবং রাবিশ বালি ব্যবহার করছে। শুধু তাই না যেখানে দুই বস্তা সিমেন্ট দেওয়ার কথা সেখানে অর্ধ বস্তা সিমেন্ট দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে রাস্তা নির্মাণের দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই বিষয়ে সাইট ম্যানেজার এলাকাবাসীদের জানাল তারা কিছুই জানেন না, সবটাই ট্যুরিজম ডিপার্টমেন্ট জানেন। ট্যুরিজম ডিপার্টমেন্ট যেভাবে কাজ করার কথা বলেছে সেভাবেই কাজ হচ্ছে। সোসাইটির এই কর্মকর্তা জানান ট্যুরিজম ডিপার্টমেন্ট কোনদিন বলেনি দুই নাম্বারি কাজ করার জন্য। ডিপার্টমেন্ট বরাবরই বলে থাকেন যাতে সুন্দরভাবে কাজটা হয়। ডিপার্টমেন্টকে বদনাম করে ম্যানেজার পার পাবার চেষ্টা করছে। তিনি পর্যটন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন অতি দ্রুত কাজটি ইনকোয়ারি করার জন্য। তার মতে সেখানে কোন ধরনের দুই নাম্বারি কাজের প্রশ্রয় দেওয়া চলবে না। যা কাজ হবে যাতে ভালোভাবে হয়। এখন দেখার খবর সম্প্রসারিত হওয়ার পর এই বহিরাজ্যের ঠিকাদারের বিরুদ্ধে দপ্তর কি ভূমিকা গ্রহণ করে তার দিকে তাকিয়ে আছেন পর্যটকরা সহ গোটা এলাকার সাধারণ মানুষ।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous post ভুয়ো বিদ্যুৎ বিল প্রদান করা অব্যাহত রয়েছে
Next post পানীয় জলের সমস্যা নিরসনে বৈঠক
%d bloggers like this: