প্রশাসনের উপর প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়ে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে উত্তেজিত গ্রামবাসীরা কৈলাসহরের মূল লাইফ লাইন বন্ধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। সংশ্লিষ্ট এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। উল্লেখ্য, রাস্তা সংস্কারের দাবিতে পথ অবরোধ করা এখন এক প্রকার ভাবে ট্র্যাডিশন হয়ে গেছে। মনে হয় যেন পথ অবরোধ করে পথচারীদের দুর্ভোগ না হলে প্রশাসনিক আধিকারিকরা কাজ করবেন না। সেই ভুল বিভ্রান্ত নিয়ে এখন পথ অবরোধে সামিল হচ্ছে প্রত্যন্ত ও গ্রামাঞ্চলের মানুষের মতো শহরাঞ্চলের মানুষও। কিন্তু প্রতিবাদের আরও বহু রাস্তা খোলা রয়েছে এবং দেশের সুনাগরিক হিসেবে তার ন্যায্য দাবি সরকার এবং প্রশাসনের কাছে তোলার মতো ব্যবস্থাও রয়েছে অনেক। কিন্তু সে বিষয়ে অবগত হতে চাইছে না সিংহভাগ মানুষ। এর ব্যতিক্রম হয়নি আজও। বেহাল রাস্তা সংস্কারের দাবিতে কৈলাসহরের চিরাকুটি এলাকায় রাস্তা অবরোধে সামিল হয় চিরাকুটি,গোলধারপুর, রামকমল, কীর্তনথলি, গৌরনগর, ভগবান নগর, কাউলিকুড়া সহ বিভিন্ন অঞ্চলের স্থানীয় বাসিন্দারা।স্থানীয়দের দাবী কৈলাসহর-কুমারঘাট সড়কের কাজ শুরু হয়েছে আজ অনেকদিন কিন্তু কৈলাসহরের প্রবেশদ্বারে চিরাকুটি এলাকায় বেশ কিছু জায়গা কর্দমাক্ত হয়ে রয়েছে প্রায় তিন থেকে চার মাস ধরে আর তার কারনে প্রতিনিদিন স্থানীয় সহ বাইরে থেকে আগত জনসাধারণকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই রাস্তা দিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন মন্ত্রী সহ আধিকারিকরা রোজ আসা যাওয়া করলেও তারা রাস্তার এই করুণ অবস্থা দেখেও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেননা। এছাড়াও গোটা এলাকার মানুষ এই রাস্তাকে দ্রুত সংস্কারের জন্য বার বার আধিকারিকদের জানানো সত্তেও কোনো ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেনা সংশ্লিষ্ট দপ্তর আর তাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে শনিবার সকাল ১১টা থেকে পথ অবরোধে বসেন স্থানীয় এলাকার মানুষ।এলাকাবাসিরা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান যে, এলাকার রাস্তাটি বেহাল অবস্থায় পরিণত হওয়ার ফলে প্রতিদিন ছোটখাটো দুর্ঘটনা হচ্ছে এবং পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাই যতক্ষণ সংশ্লিষ্ট দপ্তর রাস্তা সংস্কারের যতক্ষণ কোনো আশ্বাস দিচ্ছেননা ততক্ষণ পর্যন্ত এই পথ অবরোধ চলবে।