বিজেপি দল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং কংগ্রেস দলের নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য মিলে যৌথ ভাবে লুটপাট করেছে বলে গ্রামবাসীরা প্রকাশ্যেই জানান। এনিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনা কৈলাসহরের গৌরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই নং ওয়ার্ড এলাকায়। উল্লেখ্য, বিজেপি দল পরিচালিত কৈলাসহরের গৌরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দুলন চাঁপা সেন এবং একই গ্রাম পঞ্চায়েতের একমাত্র কংগ্রেস দলের নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য হেলাল আহমেদ খান। এই দুইজন পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে গৌরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই নং ওয়ার্ডের গ্রামবাসীরা প্রকাশ্যেই দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। গ্রামবাসীরা বলেন যে, কৈলাসহর-কুমারঘাটের নতুন বড় রাস্তাটি গৌরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই নং ওয়ার্ডের দিয়ে তৈরি হয়েছে। তাতে গ্রামবাসীদের কোনো আপত্তি নেই বলেও জানান। কিন্তু এই নতুন রাস্তাটি তৈরি হবার পূর্বে দুই নং ওয়ার্ড এলাকায় একটি ইট সলিং রাস্তা ছিলো। এই ইট সলিং রাস্তাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে প্রায় পনেরো বছর পূর্বে নির্মান করা হয়েছিলো। এই ইট সলিং রাস্তার উপর প্রায় একশো পরিবারের মানুষের যাতায়াত আছে অর্থাৎ এই ইট সলিং রাস্তার উপর প্রায় একশো পরিবার নির্ভরশীল বলে জানান গ্রামবাসীরা। কিন্তু আশ্চর্যজনক ঘটনা হলো, কৈলাসহর -কুমারঘাট রাস্তাটি নির্মানের সময় গ্রামের ইট সলিং রাস্তাটির ইট তোলে প্রধান দুলন চাঁপা সেনের নির্দেশে দুই নং ওয়ার্ডে পঞ্চায়েত সদস্য হেলাল আহমেদ খানের বাড়িতে ইটগুলো রাখা হয়েছিলো। প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার ইট হবে বলে জানান গ্রামবাসীরা। কিন্তু সেসময় গ্রামবাসীরা বার বার বলেছিলো, পঞ্চায়েত সদস্য হেলাল আহমেদ খানের বাড়িতে ইট না রেখে রাস্তার পাশে কিংবা অন্যত্র রাখার জন্য। কিন্তু গ্রামবাসীদের কথায় পাত্তাই দেয়নি প্রধান দুলন চাঁপা সেন। পরবর্তী সময়ে দেখা যায়, কংগ্রেস দলের নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য হেলাল আহমেদ খান এবং বিজেপি দলে পঞ্চায়েত প্রধান দুলন চাঁপা সেন দুজনে মিলে ইটগুলো হাফিজ করে দিয়েছেন বলে গ্রামবাসীরা প্রকাশ্যেই জানান। এত বিপুল পরিমান ইট হাফিজ করার পিছনে পঞ্চায়েত সচিবও জড়িত রয়েছেন বলে গ্রামবাসীরা দাবি করেন। গ্রামবাসীরা পরবর্তী সময়ে পঞ্চায়েতের প্রধানের দারস্থ হলে প্রধান জানান যে, পঞ্চায়েত সদস্য হেলাল আহমেদ খানের বাড়ি থেকে বেশিরভাগ ইট চুরি হয়ে গেছে। আর, চুরির পর সামান্য কিছু ইট রয়েছে সেই ইট গুলো দিয়ে পঞ্চায়েত সদস্য হেলাল আহমেদ খান উনার বাড়িতে আসা যাওয়ার জন্য রাস্তা নির্মানে ব্যবহার করে নেবে। এভাবে প্রধান, পঞ্চায়েত সদস্য এবং পঞ্চায়েত সচিব মিলেমিশে সরকারি জিনিস লুটপাট করে নেওয়ায় গোটা গ্রামে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং গ্রামবাসীরা এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে খুব শীঘ্রই আন্দোলনে নামছেন বলেও জানান। অথচ,এই দুই নং ওয়ার্ড এলাকার ইট সলিং রাস্তার ইট তোলে নেওয়ায় বর্তমানে মাটির রাস্তাটি একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। গ্রামবাসীরা যেমন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারছেন না ঠিক তেমনি এই রাস্তা দিয়ে ছোটো বড় কোনো গাড়িও চলাচল করতে পারছে না। তাছাড়া, এভাবে একজন প্রধান এবং পঞ্চায়েত সদস্য কেলেংকারী কিরে নিজেদের মুনাফা বৃদ্ধি করছেন কিন্তু এই দুই নং ওয়ার্ড এলাকায় পানীয়জলের তীব্র সমস্যা দীর্ঘদিনের। পানীয়জলের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রধান কিংবা পঞ্চায়েত সদস্য কোনো ধরনের ভুমিকা নিচ্ছেন না বলেও গ্রামবাসীরা জানান

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous post পাবলিক সচেতনতা ক্যাম্পেই করল ট্রাফিক পুলিশ প্রশাসন।
Next post দোকান ভিটা তুলে নেওয়ার জেরে ব্যবসায়ীরা হতাশাগ্রস্থ।
%d bloggers like this: