বাম-কংগ্রেস জোটে আসন সমঝোতা কি হবে? বামেরা কটা আসনে লড়াই করবে? কংগ্রেস কি মুখ্য ভুমিকা নেবে নাকি বামেরাই হবে জোটের প্রধান কেন্দ্র বিন্দু? ইত্যাদি একাধিক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরে। রাজ্য রাজনীতিতে যখন জোট জল্পনা চলছে তখন সমস্ত কল্পনার অবকাশ ঘটিয়ে প্রকাশ্যে একপ্রস্থ নির্বাচনী আলোচনা সেরে ফেলল বাম এবং কংগ্রেস নেতৃত্ব! শুক্রবার দুপুরে আচমকাই বাম-কংগ্রেস নেতৃত্বের বৈঠকের সম্ভাবনার খবর ছড়িয়ে পরতেই রাজ্য রাজনীতিতে একপ্রকার বিরোধী জোটের জল্পনা আরও বেড়ে যায়। এবং বিকেলে ঘনিয়ে রাত হতেই সেই খবরের সত্যতা বেড়িয়ে আসে। একেবারে প্রকাশ্যেই সি পি আই এম রাজ্য কার্যালয়ে গিয়ে বৈঠক সারলেন কংগ্রেস দলের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক তথা এ আই সি সি সাধারন সম্পাদক অজয় কুমার। এদিন সি পি আই এম রাজ্য কার্যালয়ে অজয় কুমার যেতেই উনাকে উত্তরীয় পড়িয়ে স্বাগত জানান সি পি আই এম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। এরপরেই চলে প্রায় বেশ কিছু সময়ের বৈঠক। দুই দলের তরফে হয় আলোচনা। যদিও বৈঠক শেষে বেরিয়ে উভয় দলের তরফেই এই বৈঠক কে সৌজন্য মুলক সাক্ষাৎ বলেই বলা হয়েছে তারপরেও উভয় দলের নেতাদের মুখেই জোট নিয়ে ইতিবাচক কথা শোনা গেছে। জিতেন্দ্র চৌধুরী স্পষ্ট জানিয়েছেন সামনের নির্বাচনকে সামনে রেখে দুই দলের মধ্যে মন খোলা আলোচনা হয়েছে। আরও কয়েক দফায় এই আলোচনা হবে বলে উভয় দলের তরফেই বলা হয়েছে। বাম নেতা পবিত্র কর আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেছেন “বাম-কংগ্রেস এক হওয়াতে বি জে পি এত ভয় পাচ্ছে কেন?”
এদিকে বাম-কংগ্রেসের এই জোটে তিপ্রা মথা আসবে কিনা তা বাম-কংগ্রেস উভয়েই ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। সুত্রের খবর তিপ্রা মথার সাথেও যোগাযোগ রেখে চলেছে মেলার মাঠ এবং পোস্ট অফিস চৌমুহুনি।
কংগ্রেস সুত্রে খবর শুক্রবার দুপুরে সি পি আই এম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী, কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা এবং কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন শহরের একটি বেসরকারি হোটেলে প্রথম ধাপের বৈঠক সারেন। যদিও এই বৈঠকের কথা প্রকাশ্যে আনা হয়নি দুই দলের পক্ষ থেকেই। জানা গেছে দুপুরের এই বৈঠকে আসন নিয়েও কথা হয়েছে। কটা আসনে কংগ্রেস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এবং কটাতে বামেরা নিজেদের প্রতিনিধি দেবে তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়।
সর্বোপরি এখন এটাই দেখার বাম-কংগ্রেসের এই জোট কে রাজ্যের নির্বাচক মণ্ডলী কিভাবে নেয় এবং ভোট বাক্সে এই জোটের কি প্রভাব পড়ে।