কই দিনে দু’বার পদপিষ্টের ঘটনা। একটা এসেছে প্রচারের আলোয়, অন্যটা থেকে গিয়েছে নিভৃতে। গতকাল মহাকুম্ভ সাক্ষী থাকল ‘মৃত্যু মেলা’র। পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ গেল প্রায় জনা তিরিশেক পুণ্যার্থীর। আহত হয়েছেন ৫০ থেকে ৬০ জন। নিখোঁজও হয়েছেন বেশ কয়েকজন। মৌনী অমাবস্যায় পুণ্যস্নান করবেন বলে গতকাল মধ্যরাতে প্রয়াগরাজে ভিড় জমিয়েছিলেন লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী। আর সেই ভিড় সামাল দিতে গিয়ে পাল্টা বিপদে পুলিশ প্রশাসন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ভিড় সামলাতে সঙ্গম পর্যন্ত ব্যারিকেড করে দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু ব্যারিকেড মানতে নারাজ জনতা। কেউ কেউ টপকে ব্যারিকেড পার করতেই পিছনের দিকে পুণ্যার্থীরাও ঠেলা দেয়। তারপরেই হুড়োহুড়ি। আর তার জেরেই ঘটে পদপিষ্টের ঘটনা।
প্রথম দিকে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ-প্রশাসন। কিন্তু বেলা গড়াতেই বাড়ে সংখ্যা। বিকাল পড়তেই মোট ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান প্রশাসনিক কর্তারা। কিন্তু এই পদপিষ্টের ঘটনা একমাত্র নয়। সঙ্গমের অদূরেই আরও একটি জায়গায় সেই একই দিনে ঘটে আরও এক কাণ্ড।
ইন্ডিয়া টুডে-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, সঙ্গমের অদূরে ঝুঁসি এলাকায় আরও একটি পদপিষ্টের ঘটনা ঘটেছিল সেদিন। মূল ঘটনার ঘণ্টাখানেক পরে সেটি ঘটে। চারিদিকে দলা পাকিয়ে ছড়িয়ে রাখা জামা কাপড়, একটা ভিড় যে সেই এলাকা হয়ে ছুটে গিয়েছে, পায়ের ছাপও কার্যত স্পষ্ট। ইতিমধ্য়েই সেই এলাকায় পড়ে থাকা ওই জামা-কাপড় তুলতে নাকি পৌঁছে গিয়েছিল ক্রেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, শুধুই জামা-কাপড় বা আবর্জনা নয়। গোটা কতক মানুষের দেহ নাকি উদ্ধার করা হয়েছে সেই এলাকা থেকে।
পদপিষ্টের মূল ঘটনাস্থল থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে ওই ঝুঁসি এলাকা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২টার পর পর প্রথম পদপিষ্টের ঘটনাটি ঘটে মহাকুম্ভে, ঝুঁসি তখনও শান্তই ছিল। কিন্তু খানিকের মধ্য়ে ভিড়ের ঠেলা পড়ে সেখানেও। ভোর ৫টা নাগাদ নিভৃতেই দ্বিতীয়বার পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে মেলা চত্বরের এই এলাকায়।