কমলাসাগরে ভূত আতঙ্কে দুই ব্রাহ্মণ পরিবার।।বর্তমানের এই বিজ্ঞানের জগতে দাঁড়িয়ে ভূত নামে কোন কিছু রয়েছে বলে বিশ্বাস করে না।। অবিশ্বাস্য হলেও শতভাগ সত্যি বলে দাবি করছে ভুক্তভোগী দুইটি ব্রাহ্মণ পরিবার। ঘটনার বিবরণের জানাজায় কমলা সাগর বিধানসভার অন্তর্গত কসবেশ্বরী মায়ের মন্দির সংলগ্ন সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর ক্যাম্পের লাগোয়া খোকন চক্রবর্তীর বাড়িতে দীর্ঘ ৭-৮ মাস ধরে ইট পাটকেল এবং বোতল দিয়ে ঢিল ছোড়াছুড়ি করা হচ্ছে কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল কে বা কারা এই ঢিল ছোড়াছুড়ি করছে কাউকেই তাদের নজরে আসছে না। শুধু রাতের বেলায় নয় দিন দুপুরেও বোতল কিংবা ইট পাটকেল দিয়ে তাদের বাড়িঘরে ঢিল ছুরছে। তাদের বাড়ির পাশেই একটি পরিত্যক্ত সরকারি দালান ঘর রয়েছে আর সেই দালান ঘরেই নাকি বোতল ভাঙ্গার শব্দ শুনতে পায় খোকন চক্রবর্তীর পরিবারের লোকজন। এরই মধ্যে গত কয়েক মাস ধরে পার্শ্ববর্তী স্বপন চক্রবর্তীর বাড়িতেও ঠিক একই ভাবে অদৃশ্য কোন কিছুর ধারা বাড়ি ঘরে ঢিল ছোরা হচ্ছে। তারা অভিযোগ জানিয়েছে একবারের জিনিস অন্য বাড়িতে চলে যায়, শুধু তাই নয় তাদের অভিযোগগুলি অবশ্যই গা ছম ছম করার মত অভিযোগ। দুই ব্রাহ্মণ বাড়ির বিছানার নিচে এবং ফ্রিজের ভিতরে পাথর কিংবা ইটের টুকরো প্রায় প্রতিনিয়তই দেখতে পাওয়া যায় কিন্তু কে বা কারা এই ধরনের কান্ড ঘটিয়ে যাচ্ছে সে বিষয়ে তারা কিছুই বলতে পারছেন না তবে ভুক্তভোগী দুই ব্রাহ্মণ পরিবার কোনদিনও ভূত বলতে কিছু রয়েছে বলে বিশ্বাস করতেন না তবে এই ধরনের ঘটনার পর তাদের মধ্যে ভূতের ভয় নতুন করে জাগ্রত হয়েছে। তারা জানিয়েছেন অনেক কবিরাজ বাড়িতে ডেকে এনে তান্ত্রিক ক্রিয়াকর্ম করেছিলেন কিন্তু কোন লাভ হয়নি বরং তাদের লক্ষ লক্ষ টাকা খোয়াতে হয়েছে কবিরাজদের পেছনে। এখনো পর্যন্ত এই দুই ব্রাহ্মণ পরিবারের মধ্যে ভূতের আতঙ্ক কাটেনি। অবশেষে দুই ব্রাহ্মণ পরিবার সংবাদ মাধ্যমের দ্বারস্থ হয়ে গোটা বিষয়টি তুলে ধরেন এবং রাজ্য সরকার ও প্রশাসনের কাছে দাবী জানিয়েছেন সরকার যেন গোটা বিষয়টি দায়িত্ব সহকারে তদন্ত করে তাদেরকে এই ভূত আতঙ্কের মধ্য থেকে রক্ষা করে।