রাশিয়া, আমেরিকা ও চিনের পর চতুর্থ দেশ হিসাবে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর পরীক্ষা করছে ভারত। এই মিশনের নাম দেওয়া হয়েছে গগনায়ন। সেই পরীক্ষার চূড়ান্ত প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে ইসরো। জুলাই বা আগস্টেই মহাকাশে পাড়ি দিতে পারে ইসরোর মানবহীন মহাকাশযান। ইতিমধ্যেই তার মহড়াও করছে ইসরো।
জানা গিয়েছে, ইসরোর তরফে তিন ধাপে গগনযান প্রকল্প শেষ করার চিন্তা-ভাবনা করা হয়েছে। সেই মতই খুঁটিনাটি চূড়ান্ত করছে ইসরো। প্রথম ধাপে আগামী জুলাই মাসেই মহাকাশে ইসরোর মানবহীন যান পাঠানো হতে পারে। সবকিছু ঠিকঠাক চললে আগামী ১৩ই জুলাই চাঁদে পাড়ি দিতে চলেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর মহাকাশযান। সেই অভিযানে সাফল্য মিললে, দ্বিতীয় ধাপে অক্টোবর – নভেম্বর মাস মানবহীন যানে মহাকাশে রোবট পাঠানো হবে। মহাকাশে যাবে ভারতের তৈরি ‘ব্যোম মিত্র’।ইসরো সূত্রের খবর, ‘ব্যোম মিত্র’ মহাকাশযানে ছোটখাটো পরীক্ষা করবে এবং পৃথিবীতে ইসরোর কমান্ড সেন্টারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার কাজ করবে। এই যন্ত্রমানবী অবশ্য অনড়। চেয়ারে বসে সামনে বা পাশে ঝুঁকে যাবতীয় কাজ করবে সে। কৃত্রিম মেধার ব্যবহার করেই যাবতীয় কাজ করা হবে। সঙ্গীদের চিনতে পারা থেকে শুরু করে কথোপকথন, যাবতীয় কাজই করতে পারবে এই রোবট।উল্লেখ্য, নাসার রোবট-নভশ্চর বা রোবোনট ২০১৫ সালে প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উদ্ভাবন হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছে। গত বছর রাশিয়াও যন্ত্র-নভশ্চরকে মহাকাশে পাঠিয়েছে। এদের কাজ, মূলত নভশ্চরদের সাহায্য করা এবং বিভিন্ন প্রযুক্তিগত মেরামতি। এর বাইরে কখনও মাকড়সা, কখনও গাড়ির আকারে একাধিক রোবট পাঠিয়েছে নাসা। ২০১৩ সালে কিউরিয়োসিটি নামে মঙ্গলগ্রহে পাঠানো গাড়িটিও রোবট ছিল। চন্দ্রযান-২ অভিযানে ভারতের বিক্রম-ও ছিল রোবট। কারণ, বছরের পর বছর কোনও মানুষ তো মহাকাশে থাকতে পারে না! সে ক্ষেত্রে রোবট অনেক বেশি কার্যকর। ভারতের যন্ত্রমানবী অবশ্য সঙ্গী নভশ্চরদের সঙ্গেই ফিরবে পৃথিবীতে।