ত্রিপুরা রাজ্যে ২,০০০ হাজার টাকার বিনিময়ে মিলছে সরকারি চাকরি! বিষয়টি অবাক লাগলেও এটাই সত্য। এমনই অদ্ভুত অদ্ভুত ঘটনা ঘটছে এই রাজ্যে। কারণ, বিজেপির ব্র্যান্ড স্টিকার গায়ে লাগিয়ে গেরুয়া বাহিনীর একটা চক্র কেন্দ্রীয় সরকারের আওতাধীন দপ্তরে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে চাকরি দেবার নাম করে গোটা রাজ্যের একটা বিশাল অংশের বেকার যুবক-যুবতীদের কাছ থেকে ২,০০০ থেকে শুরু করে ৫,০০০ টাকা করে কাটমানি আদায় করছে। বিষয়টা শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই ঘটছে এবার রাজ্যে।খবর নিয়ে দেখা গেছে,, রাজধানীর আড়ালিয়ার জনৈক রূপক ভৌমিক যিনি একসময় যুব মোর্চার সক্রিয় কর্মী ছিলেন , নেতৃত্ব ছিলেন, বর্তমানে আবার ভারতীয় মজদুর সংঘের অন্যতম নেতৃত্বও বটে। অভিযোগ, রূপক ভৌমিক সহ কেশব সরকার, শাসক দল ঘনিষ্ঠ চন্দন কুমার সিং এবং রাজ্যের একটি সামাজিক সংস্থা দিশারী-র কিছু কর্মকর্তারা মিলে গোটা রাজ্য জুড়ে বেকার যুবক যুবতীদের চাকুরীর ললিপপ দেখিয়ে বেশ বড়সড় আর্থিক ঘোটালা করে চলেছে।অভিযোগ, এই সময়ের মধ্যে রাজ্যের দিশারি নামক একটি সামাজিক সংস্থা কেন্দ্রীয় সরকারের Human Resource Department -এর কাছে চুক্তিবদ্ধ হয়ে রাজ্যের গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে ১,১৬০ টি Field Surveyor পদে নিয়োগের জন্য গোটা রাজ্য থেকে কর্মী নিয়োগ করছে। এই পদে চাকরি করার জন্য ন্যূনতম উচ্চ মাধ্যমিক পাস হতে হবে এবং প্রথম অবস্থায় প্রতি মাসে ৮,০০০ টাকা করে বেতন দেওয়া হবে বলেও ফরমান জারি করা হয়। আর ইতিমধ্যেই দিশারী সংস্থা তেলিয়ামুড়া সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উপযুক্ত কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়াও শুরু করে দিয়েছে বলে জানা গেছে। আর এর জন্য রাজধানী থেকে গোটা রাজ্যের বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রগুলির স্থানীয় শাসকদলের নেতৃত্বদের কাছে নির্দেশ দেওয়া হয় তাদের পছন্দের লোক বাছাই করে দেওয়ার জন্য । কিন্তু দিশারি সংস্থার সঙ্গে হয়তো কোনভাবে যুক্ত রাজধানীতে বসে থাকা ওই নেতৃত্বরা শহর আগরতলায় বসে বিভিন্নভাবে নেটওয়ার্ক তৈরি করে বিজেপির মণ্ডল কিংবা বুথ স্তরের কিছু কিছু নেতৃত্বদের নিয়ে এই Field Surveyor পদে চাকরি দেবার নাম করে সাধারণ মানুষজন থেকে শুরু করে বেকার যুবক-যুবতীদের কাছ থেকে ২,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকা করে কাটমানি আদায় করছে বলে অভিযোগ।তাছাড়া অভিযোগ রয়েছে, তেলিয়ামুড়া মহকুমার কিছু যুবক যুবতী সংশ্লিষ্ট সরকারি কাজের ক্ষেত্রে আবেদন পত্র দাখিল করার চেষ্টা করলে স্থানীয় ২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভার গামাই বাড়ির এক বিজেপি নেতৃত্ব কেশব সরকার নাকি দাবি করেন প্রত্যেককে কিছুটা নগদ নারায়ণ দিতে হবে। শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীরা যারা অবশ্যই রাষ্ট্রবাদী সরকারের পৃষ্ঠপোষক তারা স্বদলীয় নেতা বাবুকে প্রশ্ন করেন টাকাগুলা কেন দিতে হবে বা কাকে দিতে হবে? এই প্রশ্নের উত্তরে ২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভার গামাই বাড়ির শাসক দলীয় তথাকথিত নেতা কেশব দাবি করেন এই টাকাগুলো নাকি সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্ণধার বা উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে আর না হলে চাকরি হবে না। সৌভাগ্যবশত সংশ্লিষ্ট বিষয়ের রেকর্ডিং এই প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে। এরপর এই কেশবে কে ব্যাবহার করে তথ্য অনুসন্ধান করে দেখা গেছে রাজধানী আগরতলা সহ বিভিন্ন জায়গায় এরকম বেশ কিছু চাকরির ব্যাপারীরা বিরাজমান। খবর নিয়ে দেখা গেছে আড়ালিয়ার জনৈক রূপক ভৌমিক যিনি একসময় যুব মোর্চার সক্রিয় কর্মী ছিলেন , বর্তমানে আবার ভারতীয় মজদুর সংঘের অন্যতম নেতৃত্বও বটে। অভিযোগ , রূপক ভৌমিক সহ কেশব সরকার, শাসক দল ঘনিষ্ঠ চন্দন কুমার সিং এবং সংশ্লিষ্ট সামাজিক সংস্থা দিশারী-র কিছু কর্মকর্তারা মিলে গোটা রাজ্য জুড়ে বেকার যুবক যুবতীদের চাকুরীর ললিপপ দেখিয়ে বেশ বড়সড় আর্থিক ঘোটালা করে চলেছে।এখন এটাই দেখার বিষয় এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রফেসর ডক্টর মানিক সাহা এই চাকরি কেলেঙ্কারির মাস্টার মাইন্ডদের বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যাবস্থা গ্রহণ করে