অতীতে বিভিন্ন সময়ে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে ভারত বিরোধী অবস্থান নিয়েছে তুরস্ক। এক্ষেত্রে পাকিস্তানের ভারত বিরোধিতার কথা নতুন কিছু নয়। অথচ সম্প্রতি তুরস্কে শক্তিশালি ভূমিকম্পের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগে ‘অপারেশন দোস্ত’ পরিচালনার পর,তুরস্কেই এখন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর জয়জয়কার করছে। প্রধানমন্ত্রীর এধরনের উদ্যোগে খুশি তুরস্কবাসী। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ভিডিয়োতে যেমন তুরস্কবাসীকে ভারতের নামে ধন্য ধন্য করতে দেখা গিয়েছে। এনডিআরএফ এবং অন্যান্য ভারতীয় উদ্ধারকারী দলগুলি সেই দেশ থেকে ফিরে এসে জানিয়েছে, কীভাবে বিপর্যয়ের সময় পাশে দাঁড়ানোর জন্য ভারত ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করেছে তুরস্কের বাসিন্দারা। আর তুরস্কে নরেন্দ্র মোদীর এই জয়জয়কার দেখে, তাঁর থেকে পাক প্রধানমন্ত্রীকে উদাহরণ গ্রহণ করতে বলছে তীব্র আর্থিক সঙ্কটে ভোগা পাকিস্তানিরা। প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতেই শক্তিশালী জোড়া ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল তুরস্ক-সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। মৃত্যুর মিছিল বেড়ে ৫০,০০০ ছাড়িয়েছে। এই অবস্থায় সবার আগে যে দেশ আর্তদের উদ্ধারে হাত লাগিয়েছিল, সেই দেশের নাম ছিল ভারত। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তুরস্ক যে নয়া দিল্লির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, বিপর্যয়ের সময় সেই ব্যবধান পিছনে ফেলেছিল ভারত। রাতারাতি ‘মিশন দোস্ত’ চালু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি নিজেই এই অভিযান মনিটর করেছেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক এবং বিভাগের আধিকারিকদের নিয়ে জরুরী বৈঠক ডেকেছিলেন তিনি। এনডিআরএফ এবং সেনার যৌথ দলকে অবিলম্বে তুরস্ক যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। ৪০০০ জওয়ানের কুইক রেসপন্স টিম এক দিনের মধ্যে রওনা দিয়েছিল তুরস্কের উদ্দেশ্যে। ৬টি গ্লোবমাস্টার বিমানে করে পাঠানো হয়েছিল ওষুধপত্র ও ত্রাণ। দেশে ফিরে আসার পর উদ্ধারকারী দলের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পুরো পৃথিবীই আমাদের পরিবার। অর্থাৎ, জীবমাত্র সকলকে নিজের মনে করে সেবা করতে হয়। তুরস্ক হোক বা সিরিয়া, সম্পূর্ণ উদ্ধারকারী দল এক প্রকারে এই ভারতীয় দর্শনকেই তুলে ধরেছে।” আসলে ধর্ম, দেশ বা জাতি নয়, মানবতাই নরেন্দ্র মোদীর বিদেশ নীতির মূল মন্ত্র।