এবার মন্ত্রীর নিজ বিধানসভা কেন্দ্রের সরকারি শিক্ষকের নানান কেংলকারী নিয়ে প্রকাশ্যেই সরব হলেন শাসক দলের নেতৃত্ব। ঘটনা কৈলাসহরের গৌরনগর জুনিয়র মাদ্রাসায়। কৈলাসহরের ৫২-চন্ডীপুর সংখ্যালঘু মোর্চার মন্ডল সভাপতি জমির আলী প্রকাশ্যেই বলেন যে, গৌরনগর জুনিয়র সরকারি মাদ্রাসাটি প্রায় দিনই বন্ধ থাকার কারণে ছাত্র ছাত্রীরা বাড়িতে ফিরে যায়, প্রায় দিনই সময় মতো মাদ্রাসা খোলা হয় না, ছাত্র ছাত্রীদের মিড ডে মিল খাওয়ানো হয় না, ছাত্র ছাত্রীদের স্টাইপেন্ড হাফিজ করে দেন মাদ্রাসার ইনচার্জ এবং শিক্ষক। এছাড়াও আরও গুরুতর অভিযোগ করেছেন কৈলাসহরের গৌরনগর জুনিয়র মাদ্রাসার ইনচার্জ এবং শিক্ষকের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, কৈলাসহরের গৌরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন নং ওয়ার্ড এলাকায় অবস্থিত গৌরনগর জুনিয়র মাদ্রাসা। এই মাদ্রাসায় ফরিদ উদ্দিন এবং জামাল উদ্দিন নামে দুইজন শিক্ষক রয়েছেন। ফরিদ উদ্দিন গৌরনগর জুনিয়র মাদ্রাসার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন দীর্ঘদিন ধরে। ইনচার্জ ফরিদ উদ্দিন এবং শিক্ষক জামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। প্রতিদিন সকাল আটটায় মাদ্রাসা খোলার কথা থাকলেও প্রায়ই গৌরনগর জুনিয়র মাদ্রাসাটি বন্ধ থাকে বলে গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন। প্রতিদিনের মতো পয়লা জুলাই শনিবারেও গৌরনগর জুনিয়র মাদ্রাসাটি বন্ধ ছিলো। শনিবার সকাল সাড়ে আটটা নয়টা নাগাদ কৈলাসহরের সংবাদ প্রতিনিধিরা গৌরনগর জুনিয়র মাদ্রাসায় গিয়ে দেখেন মাদ্রাসাটি বন্ধ রয়েছে। এব্যাপারে জমির আলী বলেন যে, মাদ্রাসার ইনচার্জ ফরিদ উদ্দিনকে বার বার বলার পরও উনি মাদ্রাসার এস.এম.সি কমিটি গঠন করছেন না। এস.এম.সি কমিটি গঠন না করে ইনচার্জ ফরিদ উদ্দিন সরকারি টাকা লুটেপুটে খাচ্ছেন বলে জানান জমির আলী। ফরিদ উদ্দিন ভালো করেই জানেন যে, এস.এম.সি কমিটি থাকলে উনি লুটপাট করতে পারবেন না। তাই উনি এস.এম.সি কমিটি করতে রাজি নন। অথচ, ৫২-চন্ডীপুর বিধানসভার অধীনে ৫টি সরকারি মাদ্রাসা রয়েছে। কিন্তু চারটি মাদ্রাসায় এস.এম.সি কমিটি করা হলেও একমাত্র গৌরনগর জুনিয়র মাদ্রাসায় এস. এম.সি কমিটি নেই। গৌরনগর জুনিয়র মাদ্রাসার ইনচার্জ ফরিদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ প্রকাশ্যেই বিজেপি নেতা জমির আলী করেন যে, গৌরনগর জুনিয়র মাদ্রাসায় সাতজন ছাত্র ছাত্রী থাকলেও কাগজে কলমে ৫২জন ছাত্র ছাত্রী দেখানো হচ্ছে। সরকারকে ৫২জন ছাত্র ছাত্রী দেখিয়ে প্রতিদিন মিড ডে মিল এবং স্টাইপেন্ডের টাকা লুটেপুটে খাচ্ছেন বলে জানান। গৌরনগর জুনিয়র মাদ্রাসার ইনচার্জ এবং শিক্ষকের ব্যাপারে দপ্তরের আধিকারিক কিংবা খোদ মন্ত্রী টিংকু রায়ের নজরে নেওয়া হয়েছে কি এই প্রশ্ন বিজেপি নেতা জমির আলীকে করা হলে উনি জানান যে, মন্ত্রী সাংগঠনিকভাবে চন্ডীপুর বিধানসভার অধীনে যে ৫টি মাদ্রাসা রয়েছে সেগুলো রেগুলার সাংগঠনিকভাবে খোঁজ খবর নেওয়া এবং পরিদর্শন করার দায়িত্ব দিয়েছেন বলেই তো গৌরনগর জুনিয়র মাদ্রাসার এতসব কেলেংকারী প্রকাশ্যে এনেছেন বলে জমির আলী দাবি করেন।