মঙ্গলবার সকালে কল্যাণপুর থানাধীন দ্বারিকাপুর শীল পাড়া স্থিত শহীদ কমরেড দিলীপ শুক্ল দাসের বাড়িতে যান সি পি আই ( এম ) রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরীর নেতৃত্বে এক বাম প্রতিনিধি দল। রাজধানী আগরতলা থেকে জিতেন্দ্র চৌধুরীর সাথে আসেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সি পি আই (এম ) রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য পবিত্র কর, বিধায়ক তথা সি পি আই ( এম ) রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য সুধন দাস প্রমুখ। প্রয়াত দিলীপ দাসের বাড়িতে ছিলেন বিধায়ক নির্মল বিশ্বাস, সি পি আই এম খোয়াই মহকুমা কমিটির সম্পাদক পদ্ম কুমার দেববর্মা, তেলিয়ামুড়া মহকুমা কমিটির সম্পাদক হেমন্ত কুমার জমাতিয়া, কল্যাণপুরের বাম প্রার্থী মনীন্দ্র চন্দ্র দাস, জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য সুভাষ নাথ, বাগানবাজার লোকাল সম্পাদক শংকর দাস ছাড়াও অন্যান্য নেতৃত্ব। সাংবাদিক দের সাথে কথা বলতে গিয়ে সি পি আই ( এম ) রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন গত 16 তারিখের ভোটে বিজেপির পাপের বিরুদ্ধে মানুষ রাত এগারোটা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ভোট দান করেছেন। যাবতীয় হুমকি হুজ্জুতি চ্যালেঞ্জ কে উপেক্ষা করেই মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন। তিনি বলেন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় মানুষ দৃঢ়চেতা মানসিকতা দেখিয়েছেন। এর ফলে বর্তমানের শাসক গোষ্ঠীকে আতঙ্ক ও পরাজয়ের ভুত চেপে ধরেছে। এরই বহিঃপ্রকাশ এই দিলীপ শুক্ল দাসের পরিকল্পিত খুন। তিনি বলেন আমরা আমাদের কমরেড তো আর ফিরে পাবো না কিন্তু এই অপরাধ এর সঠিক সঠিক তদন্ত ও বিচার এবং দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি যেন হয় তার দাবি জানানো হচ্ছে প্রশাসনের কাছে। তিনি বলেন সঠিক তদন্ত ও বিচার যদি না হয় তাহলে কেও পার পাবে না। জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন লড়াই এর একটা পর্ব অতিবাহিত হয়েছে। আদতেই ভোট দেওয়া যাবে কি না তা নিয়েই সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু মানুষ ভয় ভীতি উপেক্ষা করে ভোট দিয়েছেন। এখন 2 মার্চ এর প্রতীক্ষা। এই সময়কালের মধ্যে শাসক শিবির প্ররোচনা সৃষ্টির চেষ্টা করবে। তিনি কর্মীদের কোন প্রকার প্ররোচনায় পা না দিয়ে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানান। রাজ্য সম্পাদক বলেন ভোটের ফলাফল দুশমনদের পক্ষে যাবে না কোন ভাবেই। মানুষ রায় দিয়েছে গণতন্ত্র, শান্তি এবং উন্নয়ন এর পক্ষে। তিনি বলেন কোন ভাবেই আইন হাতে না তুলে নেওয়া হবে শহীদ কমরেড এর প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন। শান্তির পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বাম নেতৃত্বরা জানান তারা এই পরিবারটির পাশে আছেন এবং থাকবেন। বাম প্রতিনিধি দল কে দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন নিহত দিলীপ শুক্ল দাসের মা ও স্ত্রী। উল্লেখ্য গত শনিবার রাতে দিলীপ শুক্ল দাসকে আক্রমণ করা হয়। এরপর তার ভাই উত্তম শুক্ল দাসের লিখিত অভিযোগ মুলে কল্যাণপুর থানা মোট পাঁচ অভিযুক্তের মধ্যে দ্বারিকাপুর পঞ্চায়েত এর প্রধান কৃষ্ণকমল দাস এবং সরোজ দাস কে গ্রেপ্তার করে সোমবার খোয়াই আদালতে পাঠায়। আদালত তাদের তিন দিনের পুলিশ রিমান্ড এ পাঠান। বাকি তিন অভিযুক্ত পলাতক বলে পুলিশ সূত্রে খবর। আগামী 22 ফেব্রুয়ারী এই দুই গ্রেপ্তারকৃত কে ফের আদালতে তোলা হবে।