গত কয়েক বছর ধরে দেশে বহুবারই ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগার অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন রাজ্যে। ধর্মের পাশাপাশি লিঙ্গ, জাতি নানা অভিযোগে শত্রুতা ও সেই সূত্রে হিংসাত্মক ঘটনার অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সংসদে যে তথ্য পেশ করেছে তাতে দেখা গিয়েছে, এই ধরনের অভিযোগে সবথেকে বেশি মানুষ গ্রেপ্তার হয়েছেন উত্তরপ্রদেশে । তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু । মঙ্গলবার সংসদে এই সংক্রান্ত একটি তথ্য প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তাতে দেখা গিয়েছে, ২০২০ সালে সব মিলিয়ে উত্তরপ্রদেশের ৩৩০ জন মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা তামিলনাড়ুতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৭৬ জনকে। এরপরই রয়েছে অসম। এদিকে ওড়িশা ও মিজোরামের মতো রাজ্যে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো ২০১৮ থেকে ২০২০ পর্যন্ত তথ্য প্রকাশ করেছে। সেই তথ্যই এদিন পেশ করা হয়। পাশাপাশি লোকসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, ধর্মীয় আবেগে আঘাত করার ইচ্ছাকৃত ও বিদ্বেষপূর্ণ কোনও ধরনের প্রবণতা কিন্তু লক্ষ করা যায়নি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয় উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু অঞ্চলে। বিক্ষোভকারীদের দাঙ্গাবাজ বলে অভিহিত করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় সরকার। থানায় আটকে রেখে নির্মম ভাবে মারধর থেকে শুরু করে বুলডোজার দিয়ে বাড়ি ভেঙে দেওয়া- বাদ পড়েনি কিছুই। যা নিয়ে তীব্র আপত্তি করেছিলেন দেশের আইনজীবীরা। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানাকে চিঠিও লেখেন ১২ জন আইনজীবী। যদিও বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার ঘটনায় স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।