রাজনৈতিক মহলে শোনা যাচ্ছে বুবাগ্রা তার দল মথার আগামীদিনের লড়াই এবং দলের অস্তিত্ব সংকট নিয়ে সার্বিক রুপে চিন্তায় আছেন! একদিকে প্রদ্যুৎ কিশোরের জাতির প্রতি কমিটমেন্ত তো অন্য দিকে নির্বাচনী লড়াইয়ে রাজনীতির আগ পেচ! সবমিলিয়ে বুবাগ্রা এখন সব দিক থেকেই জড়িয়ে গেছেন বলেই সুত্রের খবর।
এদিকে মথা সুত্রে খবর তিপ্রা মথা দল এই মুহূর্তে গোটা রাজ্যে আসন্ন নির্বাচনে একা লড়াইয়ের জন্য সম্পুর্ন রুপে প্রস্তুত। আবার মথার অন্য একটি অংশ প্রদ্যুতের কাছে জোড় দাবী জানিয়েছে বিরোধী জোটে নিজেদের সামিল করতে। এই অংশের দাবী বিরোধী জোট ছাড়া শাসক জোটের সাথে গেলে মানুষ তাদের প্রত্যাখান করবে। তারা বুবাগ্রা কে জানিয়েছেন তিপ্রা মথার অধিকাংশই হচ্ছেন গন মুক্তি পরিষদ থেকে আশা নির্বাচক মণ্ডলী। সুতরাং জি এম পি ফেরত লোকেরা চাইবে না তিপ্রা মথা শাসক বি জে পি জোটে নিজেদের সামিল করতে।
আরও একটি সুত্রে খবর তিপ্রা মথা জুড়ে এখন টিকিট পাওয়ার লড়াইয়ে দ্বিধাবিভক্ত। সুত্র বলছে পাহাড়ের প্রতিটি আসনে লড়াই করার জন্য তিপ্রা মথার তরফে চার থেকে পাঁচজন চেহারা প্রতি কেন্দ্রে আশা করে আছে। এই পরিস্থিতিতে মথা সুপ্রিমো যদি কোন একজনের জন্য গ্রীন সিগন্যাল দেয় তাহলে অপর প্রার্থী প্রত্যাশীরা দলের মধ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করবে। যার ফলে নির্বাচনের আগে বিশাল চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বুবাগ্রার তিপ্রা মথা দল।
তিপ্রা মথা আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে যদি একা লড়াই করে তাহলে টিকিট বণ্টন নিয়ে গোটা দলে বিদ্রোহের ফলে অনেক কর্মী নেতারা দল ছেড়ে বেরিয়ে আসবে আর এর ফলে লাভের গুর খেয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা বামেদের কারন শাসক বি জে পি’র তরফেই দাবী করা হয় তিপ্রা মথা আসলে লাল মথা। সুতরাং পাহাড়ে তিপ্রা মথার শক্তি বিভাজিত হলে আখেরে লাভ হবে বামেদের।
একদিকে যেমন প্রদ্যুৎ কিশোরের তিপ্রা মথা ছাড়া ২৩’র বিধানসভা ভোট কল্পনা করা যায় না ঠিক তেমনি প্রদ্যুৎ কিশোর নিজের অবস্থান নিয়ে দোটানায় রয়েছেন। কংগ্রেস এবং বামেদের তরফে ইতিমধ্যেই তিপ্রা মথার কাছে বর্তমান পরিস্থিতির দাবীতে একমঞ্চে আসার আহ্বান জানিয়েছে।
কিন্তু নিজ দলে বিশৃঙ্খলার ছবি এতটাই চরমে যা বুঝতে পেড়ে প্রদ্যুৎ হুট করে কোন সিদ্ধান্তে নিজেকে সামিল করছে না।
পাহাড়ে বিগত এ ডি সি নির্বাচনে তিপ্রা মথা যতখানি আসন পেয়েছে তার অধিকাংশই বামেদের ভোট সিফট হওয়ার ফলেই সম্ভব হয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলের দাবী সুতরাং ভোটের এই আগের মুহূর্তে দাঁড়িয়ে যদি মথা বি জে পি’র সাথে জোটে যায় তাহলে মথা সুত্রে যা খবর মথা নিজেই হারিয়ে যাবে এবং বামেদের ভোট ব্যাংক সম্পুর্ন রুপে ফিরে পাবে বামেরা।