নেপালের পোখরাতে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। রবিবার সকালে বিমানটি নেপালের কাঠমান্ডু থেকে পোখরার দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই কোনও কারণে আগুন লেগে যায় বিমানটিতে। তারপরেই মাঝ আকাশ থেকে মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়ে সেই যাত্রিবাহী বিমান। ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৪০ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিমানটি সাড়ে ১০টা নাগাদ কাঠমাণ্ডু থেকে পোখরার উদ্দেশে ওড়ে। আবহাওয়া পরিষ্কারই ছিল। কিন্তু অবতরণের আগেই আগুন লেগে যায় তাতে। এরপরেই পোখরা পুরনো বিমানবন্দর ও পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাঝে ভেঙে পড়ে বিমানটি। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কাণেই এই প্লেন ক্র্যাশের ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনার সময়ে বিমানটিতে ৭২ জন উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তার মধ্যে ৬৮ জন যাত্রী ও ৮ জন ছিলেন বিমানকর্মী। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের খবর, বিমানের ৬৮ জন যাত্রীর মধ্যে ১৫ জনই ছিলেন বিদেশি। ২ জন শিশুও ছিল। বিদেশিদের মধ্যে ৫ জন ভারতীয় ছিল বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের কাউকেই অবশ্য এখনও উদ্ধার করা যায়নি। গোটা বিমানটিই দাউ দাউ করে জ্বলছে। চলছে আগুন নেভানোর কাজ। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে জীবিতদের উদ্ধারের কাজ। এখনও পর্যন্ত ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, গোটা বিমানটিতে আগুন ধরে গিয়েছে। বিমানের প্রত্যেকেরই মারা যেতেন পারে বলে আশঙ্কাপ্রকাশে করেছেন বিশেজ্ঞেরা। শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। ঘটনার পরপরই উদ্ধারকাজে হাত লাগান স্থানীয়েরা। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বাহিনী। বিমান ভেঙে পড়ার পর আগুন ধরে যাওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পোখরা বিমানবন্দর। কী কারণে এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটল তা নিয়ে বিমানবন্দরের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি। বিমানবন্দরের একেবারে কাছে এসে অবতরণের সময় সিগনালিংয়ে কোনও সমস্যা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আপাতত নেপাল সরকার, বিমানবন্দরের তরফে জোর কদমে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে।তবে এই প্রথম নয়, নেপালে প্রায়ই এই ধরনের বিমান দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। গত ৬ মাসের মধ্যে পোখরা এলাকায় এই নিয়ে ২ বার বিমান দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটল। কিন্তু ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে, তা ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার হওয়ার পরেই নিশ্চিত ভাবে জানা যাবে বলে জানাচ্ছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।