কংগ্রেস শিবিরের অভিযোগ, উপরাষ্ট্রপতির উচিত ছিল ‘আম্পায়ারের’ ভূমিকা নেওয়া। অথচ তিনি চিয়ারলিডারের ভূমিকা নিচ্ছেন। আসলে দিন কয়েক আগে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেশের গণতন্ত্র নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন রাহুল গান্ধী। রাহুল দাবি করেছিলেন, “ব্রিটিশ সংসদে অন্তত বিরোধীদের বলার অধিকার আছে। আর আমাদের সংসদে আমরা কথা বলতে গেলে মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়।” রাহুলের সেই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন উপরাষ্ট্রপতি। ধনকড় বলেন, গোটা বিশ্ব যখন আমাদের গণতন্ত্রের মহানতাকে সম্মান করছে, তখন আমাদের মধ্যেই কিছু লোক, এমনকী সাংসদরাও নির্বোধের মত, অসত্য অভিযোগ করে গণতন্ত্রকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে। এই মন্তব্যের বিরোধিতা না করলে আমি সংবিধানের ভুল দিকে পড়ে যাব।”ধনকড়ের এই অবস্থানকেই তুলোধোনা করলেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “কিছু কিছু পদে আসীন মানুষের নিরপেক্ষ থাকাটা সাংবাধিক বাধ্যবাধকতা। উপরাষ্ট্রপতিরও বেশ কিছু বাড়তি দায়িত্ব থাকে। চেয়ারম্যানের পদ সামলানো তার মধ্যে একটা। উনি হঠাৎ করে সরকারকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। অথচ তাঁর উচিত কোনও এক পক্ষ নেওয়া থেকে শতহস্ত দূরে থাকা।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous post উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়েতে দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পণ্য আনলোডিং।
Next post ১৬ দফা দাবি সহ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করল আমরা বাঙালী দল
%d bloggers like this: