পরকীয়া সম্পর্কের জেরে এলাকাবাসীর সঙ্ঘবদ্ধ অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের উপস্থিতিতে এক সন্তানের জননীকে দুশ্চরিত্রা আখ্যা দিয়ে গোটা এলাকার পরিবেশকে সুস্থ রাখার দাবিতে এক মহিলাকে এলাকা ছাড়া করা হল, গোটা ঘটনা ঘিরে এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য বিরাজ করছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়,,, আজ থেকে বিগত প্রায় বছর দুই আগে তেলিয়ামুড়া থানাধীন গামাইবাড়ি এলাকার আলোর গুদাম সন্নিহিত স্থানের আশীষ সরকারের স্ত্রী সীমা সরকার প্রতিবেশী জনৈক গোবিন্দ রায়ের সাথে পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে পালিয়ে যায়। এরপর দীর্ঘদিন অজ্ঞাতবাসে থাকার পর শুক্রবার সীমা সরকার পুনরায় তার সন্তান সহ পুরনো শ্বশুরবাড়ি অর্থাৎ আশীষ সরকারের ( আশিষ এখন এখানে থাকে না) বাবার বাড়িতে এসে আশ্রয় গ্রহণ করে।
এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। শনিবার সংশ্লিষ্ট এলাকার নারী পুরুষ, যুবক যুবতী সবাই সম্মিলিতভাবে আশীষ সরকারের বাবার বাড়িতে অর্থাৎ যেখানে সীমা সরকার আশ্রয় গ্রহণ করেছে সেখানে ঘেরাও করে সীমা সরকার’কে এলাকায় ছাড়ার দাবি জানাতে থাকে। এলাকাবাসী সূত্রে অভিযোগ হচ্ছে,, সীমা সরকার এই এলাকায় থাকাকালীন সময়ে একাধিক পুরুষের সাথে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করে গোটা এলাকার পরিবেশকে প্রকার বিষিয়ে তুলেছিলেন, তাই বর্তমান তথা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে সীমা সরকার’কে দুশ্চরিত্রা আখ্যা দিয়ে এলাকা ছাড়ার জন্য দাবি জানাতে থাকে এলাকাবাসী। একটা সময় প্রতিবাদের আবহে পরিস্থিতি প্রায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছিল, তখন উত্তপ্ত হয়ে উঠে গোটা এলাকা। তখন খবর পেয়ে পৌঁছয় তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ। অবস্থা বেগতিক বুঝে এবং সাধারণ মানুষের চাপের কাছে এক প্রকার বশ্যতা শিকার করে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে সীমা সরকার’কে। পরবর্তী সময়ে খবর নিয়ে জানা গেছে, পুলিশ সীমা সরকার’কে তেলিয়ামুড়া বাজারে এনে ছেড়ে দেয়।
সূত্র মারফত জানা গেছে,, আগের স্বামী আশীষ সরকারের হাত ছেড়ে গোবিন্দ রায়ের সাথে সুখের সংসার বাঁধার স্বপ্নে বিভোর হয়ে সীমা সরকার নিজের সন্তান সহ বাড়ি ছাড়া হলেও বর্তমানে গোবিন্দ রায় সীমা সরকার’কে ছেড়ে দিয়েছে।
তবে যাই হোক গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে গামাইবাড়ি আলুর গোডাউন সংলগ্ন এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous post আম চাষ করে প্রতি মাসে প্রায় চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা উপার্জন
Next post ফরমালিনযুক্ত মাছ বিক্রির অভিযোগের বিরুদ্ধে মাঠে নামল প্রশাসন
%d bloggers like this: