পুলিশ এবং পাচার কারীদের অবৈধ প্রেম প্রকাশ্যে আসার পরেও ধামা চাপা দিতে বেস্ত একাংশ। সাম্প্রতিক কালে বিলোনিয়া ঘটে যাওয়া পাচার বাণিজ্য এবং পুলিশ কর্তৃক ৫ জন বাংলাদেশীর জেল হাজত হলেও এখনো অধরা রয়ে গেল বিলোনিয়া তথা দক্ষিণ জেলার পাচার বাণিজ্যের কিং শুকলাল মিয়া সহ তার সাঙ্গ পাঙ্গরা। উল্লেখ্য গত শুক্রবার রাতে পাঁচ বাংলাদেশী গ্রেফতার করার পর ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করার হলে চারজন পাচারকারীর নাম উঠে আসে। মামলা গ্রহণ করার পর এই নামগুলি সেদিন পুলিশ না জানালেও সোমবার সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সিজিএম কোর্টের এপিপি সুব্রত ভট্টাচার্জি জানায় এই পাচারকারীরা হলো সুখলাল মিয়া,মিলন মিয়া,আশীষ বৈদ্য ওরফে মিঠুন বৈদ্য এবং তমাল মল্লিক। তমাল মল্লিকের বাড়িতেই পুলিশ হানা দিয়ে ৫ বাংলাদেশী সহ উদ্ধার করে কয়েক লক্ষাধিক টাকার শাড়ি এবং নবরত্ন তেল। পাঁচ বাংলাদেশীকে শনিবার সকালে পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধি 370/212/120(বি) 3 অফ আই পিপি ধারা মামলা নিয়ে পাঠায় বিলোনিয়া আদালতে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে এ পাচার বাণিজ্যের সাথে জড়িত রয়েছে এই চারজন। কিন্তু এই চারজন এখনো অব্দি পুলিশের ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছে। তবে তিনি শুকলাল এবং মিলন মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন এর আগেও চোরা কারবার এবং মানব পাচারের সাথে জড়িত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে বিলোনিয়া থানায় মামলা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মিলন মিয়া কিছুদিন জেল খাটলেও শুকলাল মিয়া আজও ধরাছোঁয়ার বাইরে। তিনি অভিযোগ করে বলেন বিলোনিয়া থানার একাংশ পুলিশ অফিসাররাও এ শুকলাল মিয়ার বিরুদ্ধে কোন পাচার বাণিজ্যে সাথে জড়িত থাকার মামলা হলে,পুলিশ তার বিরুদ্ধে হালকা সেকশন লাগিয়ে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন শুকলাল এবং মিলন মিয়া লাভ জিহাদীর মত কাজেও জড়িত। কোন গরিব গ্রামে গঞ্জের হিন্দু মেয়েকে মুসলিম ছেলের সাথে বিয়ে করিয়ে দিয়ে হিন্দু মেয়েদেরকে পাচার করে দিচ্ছে বিভিন্ন বড় বড় শহর গুলিতে। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন এই শুকলাল মিয়ার রয়েছে বাংলাদেশের সাথে ফেনসিডিল,গাঁজা,বাইক সহ মানব পাচারকারীর ব্যবসা। এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে রাজনগর,ঋষ্যমুখ,মতাই,গ জারিয়া সহ আমজাদ নগর এলাকা দিয়ে। কিন্তু এর পরেও এই শুকলাল এর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না পুলিশ। তিনি প্রশ্ন তুলেন, যে শুকলাল একসময় মানুষের বাড়ি থেকে কাঁঠাল কিনে কিনে বাংলাদেশে কাঁঠাল পাচার করত। সে শুকলাল হঠাৎ করে কিভাবে মতাই, বিলোনিয়া, উদয়পুর আগরতলা সহ কলকাতায় বাড়ি করে নিয়েছে। এবং দুই দুটি বাইক শোরুম সহ ব্যক্তিগত চলাচলে ২৬লক্ষ্য টাকার ইনোভা গাড়ি ব্যবহার করছে। এই টাকা হঠাৎ করে আসলো কোথায় থেকে তা যদি আয়কর দপ্তর সঠিক ভাবে তদন্ত করে তাহলে সব রহস্য বেরিয়ে আসবে। তবে বিলোনিয়াবাসীর গুঞ্জন এই দক্ষিণের ফেন্সি কিং শুকলাল মিয়া মাসের শেষে বিলোনিয়া থানাকে প্রচুর পরিমান প্রনামি দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে রমরমা দুই নাম্বারি ব্যবসা। এই প্রনামীর একটা অংশ যাচ্ছে থানার ওসি, মহকুমা পুলিশ অধিকারীক এবং দক্ষিণের উচ্চপদস্ত অধিকারীক সহ শাসক দলের নেতৃত্বদের কাছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous post বিদ্যুৎ নিগম কার্যালয়ে হামলা চালালো এলাকাবাসী
Next post সংখ্যালঘুদের উচ্ছেদ না করার দাবিতে ডেপুটেশান
%d bloggers like this: