বারুণী স্নান এখানে গঙ্গা স্নানেরই প্রতিরুপ। বাঙলা সনের প্র চৈত্র মাসের শতভিষা নক্ষত্রযুক্ত মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশীতে এই স্নান অনুষ্ঠিত হয়। শাস্ত্র মতে কোন বছর যদি ঐদিনটি শনিবার হয় তবে ঐ বারুণী স্নান অসাধারণত্ব লাভ করে মহা বারুণী স্নান রুপ লাভ করে। এই স্নানটি বস্তুত্ব হিন্দু ধর্মীয় একটি পূন্য স্নান উৎসব।
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ সমস্ত উৎসবের মধ্য দিয়ে ধর্মীয় রীতি নীতি মেনে বারুণী স্নান প্রতি বছর ন্যায় এই বছরও রবিবার আয়োজন করা হয়। এদিন পূর্ণ লাভের আশায় সকলে নদীতে স্নান করে l প্রসঙ্গত, হিমালয় কন্যা গঙ্গার অপরনাম বারুণী। বারুণী স্নান এখানে গঙ্গা স্নানেরই প্রতিরুপ।
দক্ষিণ জনপদের এই কপিলমুনিতে ঠিক কবে থেকে বারুণী মেলার আয়োজন হয়ে আসছে তা হিসেব করা খুব কঠিন।জনস্রুতি এমন পুন্যত্মা কপিল কালের কোন এক সময় সাধনায় সিদ্ধিলাভের জন্য কপোতাক্ষের পাড়ে সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির স্থাপন করেন এবং তিনি সেখানে ধ্যান মগ্ন অবস্থায় আদ্যা শক্তির সাক্ষৎ পান। গভির ধ্যানের দ্বারা তিনি সেখানে গঙ্গাকে কপতাক্ষের সঙ্গমে একত্রিত করেন।সময়টি ছিল চৈত্র মাসের শতভিষা নক্ষত্রযুক্ত মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী।আর এখানেই স্থাপন করেছিলেন বারুণী স্নানঘাট l

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous post রবিবার মেগা রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় জিবি হাসপাতালে
Next post রবিবার গেজেটেড অফিসার্স সংঘ ত্রিপুরা প্রদেশের পক্ষ থেকে আগরতলার আই জি এম হাসপাতালে এক স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়‌
%d bloggers like this: