
প্রদেশ বি জে পি’র পরবর্তী সভাপতি কে হবেন তা নিয়ে এখন কুশভাও ভবনে জোড় জল্পনা! প্রদেশ কার্যালয়ে কান পাতলেই শোনা যায় সভাপতির নাম নিয়ে নানান ময়নাতদন্ত। একুজন বলছেন অমুক আরেকজন বলছেন তমুক। মাঝের একজন বলছেন “আরে না দেখিস, দাদাই হইব!”। কিন্তু এখন প্রশ্ন হল দাদা না দিদি? দিদি হলে দুটো নামের মধ্যে একজনই প্রবল সম্ভাব্য! আরেকজন এতটা আলোচনায় নেই। উনি ৬-এই ব্যাস্ত আছেন। আর যিনি প্রবল সম্ভাব্য উনাকে নিয়ে আবার নানান গল্প। কুশভাও ভবনে গেলে শোনা যায়, মোদী যতদিন আছেন উনি নাকি কোন পদই পাবেন না।

এবার আসা যাক দাদার দিকে। দাদা বললে প্রদেশ বি জে পি দলে আবার দাদার অভাব নেই। প্রদেশ বি জে পি যতই বলুক তাদের মধ্যে কোন গোষ্ঠী দন্দ নেই, কিন্তু তা এখন ওপেন সিক্রেট যে গোষ্ঠী বাজী কতটা প্রবল এই দলে। একেক গোষ্ঠীর একেক দাদা। তাই দাদা লিস্ট নিয়ে মাঠে ময়দানে যা আলোচনা হচ্ছে তাতে এই কটি নাম আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে – ১) বিপ্লব দেব ২) রাজীব ভট্টাচার্য ৩) অমিত রক্ষিত ৪) টিংকু রায় ৫) ভগবান দাস ৬) তাপস ভট্টাচার্য। এই নাম গুলো নিয়েই এখন একাধিক গোষ্ঠীর লড়াই। কিন্তু কি বলছে দিল্লীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়? আসলে বি জে পি তে কাকে কি পদ দেওয়া হবে তা স্বয়ং ভগবানও আগে থেকে আঁচ করতে পারেন না। রাজ্য স্তরীয় নেতারা যতই অংক কষাকষি করুক না কেন দিল্লীর মনে কোন দাদা কিংবা দিদি জায়গা করে আছেন তা কিন্তু কেউই বলতে পারেন না।

BJP
এবার আসা যাক আসলেই কার পাল্লা ভারী সেই প্রশ্নে! প্রদেশ বি জে পি’র সভাপতি পদের জন্য উক্ত লিস্ট থেকে তিনটে নামের পাল্লা যে ভারী তাঁর পেছনে ওপেন সিক্রেট কিছু যুক্তি আছে। এই যুক্তি গুলি কেউ প্রকাশ্যে না বললেও কুশভাও ভবনের কেউই আবার এগুলোকে ঠেলে ফেলে দেবেন না। আর এই তিনটি নাম হল ১) রাজীব ভট্টাচার্য ২) টিংকু রায় ৩) ভগবান দাস। প্রদেশ সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর রাজীব ভট্টাচার্যের সাফল্যের রেইট অনেকটাই বেশী। সংগঠনকে মজবুত করতে রাজীব ভট্টাচার্য গোটা রাজ্য চষে বেরিয়েছেন। একের পর এক জায়গায় গিয়ে কর্মিদের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি করেছেন রাজীব। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহার প্রথম পছন্দের একজন হল রাজীব ভট্টাচার্য। সভাপতি পদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর প্রথম পছন্দ রাজীব ভট্টাচার্য। আর যদি কোন কারনে এই নামে অনিহা থাকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তাঁর জন্য সুত্রের খবর অনুযায়ী দ্বিতীয় আরেকটি নামও প্রস্তাব করে রেখেছেন মানিক সাহা। আর মুখ্যমন্ত্রীর দ্বিতীয় পছন্দের নামটি হল মন্ত্রী সভার অন্যতম সদস্য টিংকু রায়।
এবার আসা যাক তৃতীয় নামটির বিশ্লেষণে। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বর্তমানে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করছে। বিশেষ করে হরিয়ানায় অপ্রত্যাশিত জয় ছিনিয়ে আনার পর বিপ্লব কুমার দেবের গ্রহণযোগ্যতা বি জে পি’র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই বিপ্লব দেবের একটা পছন্দ প্রদেশ বি জে পি সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটা বড় ভুমিকা নেবে বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা। আর যদি বিপ্লব দেবের পছন্দের কথা দেখা হয় তাহলে সুত্রের খবর অনুযায়ী বিপ্লব দেব একটি নাম নিয়েই দিল্লীর দরবারে ছুটাছুটি করছে আর সেটা হল ভগবান দাস। ভগবান দাস বিপ্লব দেবের অত্যন্ত অনুগত একজন সেটা এখন বিজয় কুমার চৌমুহুনির পার্টি অফিসের গ্রুপ ডি থেকে উপরের শ্রেনীর কর্মী সকলেই জানেন। আর এই বিষয়ে ভগবান বাবুও আট গাঁট বেধে মাঠে নেমে পড়েছেন। আমাদের সুত্র এটাও বলেছে যে কুমারঘাট পাবিয়াছড়া এলাকায় নাকি একপ্রস্থ বৈঠক ও শেষ হয়ে গেছে। আর বৈঠক শেষে কার্যকরতারা মিষ্টি খাওয়ানোর আবদার করলে বি জে পি’র ভগবান সেই ইচ্ছেটাও পুরন করেছেন।
সবশেষে এইটুকু তো বলাই যায়, প্রদেশ বি জে পি সভাপতির দিকে নজর অনেকেরই রয়েছে কিন্তু দিল্লীর নজর কার দিকে সেটা কেউই বলতে পারছেন না এমনকি বি জে পি’র ভগবান ও নয়।
