আমি কোনো দোষ করিনি কিংবা আমি কোনো খারাপ কাজের সাথে যুক্তও নই।ঊনিশ মে দুপুরে কৈলাসহরের বৌলাপাশা এলাকায় বিক্ষোভের আটচল্লিশ ঘন্টার মধ্যেই একুশ মে রোববার সকালে নিজ বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানালেন রজতাভ হরফে অমিতাভ শীল। সাংবাদিক সম্মেলনে জানান যে, আমার ব্যক্তিগত ইমেজকে এবং আমার পরিবারের মান সন্মান নষ্ট করার জন্যই এমন কাজ করেছে বলেই জানান। উনি বলেন যে, কিছু মানুষ আমার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে আমার নাম রজতাভ শীল বলে মিথ্যা কিছু কথা প্রচার করেছিলো। কিন্তু কি কারণে এরা এসব করলো তা উনি আজও ভেবে পাচ্ছেন না। কারণ উনি বলেন, উনার নাম রজতাভ শীল নয়, উনার নাম অমিতাভ শীল। উনি বিভিন্ন সামাজিক সংস্থায় চুক্তির ভিত্তিতে কাজ করে থাকেন বলে জানান। তাছাড়া উনি প্রায়ই নিজে বিভিন্ন সামাজিক কাজও করে থাকেন বলেও জানান। এগুলো উনি নিজে প্রচারে আনেন না এবং প্রচার করতেও দেন না। ঊনিশ মে উনার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করার খবর উনি নিজেই পুলিশকে ফোন করে জানান এবং অমিতাভ বাবুর কাছ থেকে খবর পেয়ে কৈলাসহর থানার পুলিশ উনার বাড়ির সামনে বিক্ষোভস্থলে আসেন। পরবর্তী সময়ে পুলিশ উনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় যাবার কথা বললে উনি সাথে সাথেই উনার বাড়ির সামনে আসা পুলিশের সাথেই থানায় চলে যান। ওসি অন্য এক মামলায় তদন্তের জন্য থানায় না থাকায় কিছুটা সময় অপেক্ষা করার পর প্রায় দুই ঘন্টা পর ওসি থানায় আসেন। ওসি থানায় আসার পর অমিতাভ বাবুকে এব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওসি সন্তুষ্ট হয়ে অমিতাভ বাবুকে থানা থেকে বীনা শর্তে সস্মমানে ছেড়ে দেন। থানায় অমিতাভ শীলের নামে কেউ কোনো লিখিত মামলা করে নি এবং মৌখিক ভাবেও কেউ কোনো ধরনের অভিযোগ করেনি বলে অমিতাভ শীল জানান এবং থানার ওসি নিজেও জানান। অমিতাভ শীল সামাজিক কাজের পাশাপাশি উনি অনলাইনে বেদান্তের ডেভোলাপার হয়েও কাজ করেন। তাছাড়া উনি কৈলাসহরের বেসরকারি এক নার্সিং হোমের বিজ্ঞাপন বিভাগের হয়ে কিছু কাজ করেছিলেন। বর্তমানে এই নার্সিং হোমে প্রায় ছয় মাস ধরে বন্ধ থাকলেও নার্সিং হোম মালিক কর্তৃপক্ষের সাথে উনার আজও ভালো সম্পর্ক রয়েছে বলেও জানান অমিতাভ শীল