শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভেতর শিক্ষকদের ফাঁকিবাজি এবং মদের আসর বসানোর অভিযোগ তুলে ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে এলাকার লোকজন বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে। ঘটনা ২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের মুঙ্গিয়াকামী বিদ্যালয় পরিদর্শকের অধীনস্থ তুইমধু উচ্চ বিদ্যালয়ে।
অভিযোগ, এই তুইমধু উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক স্বল্পতা বহুদিন ধরেই। মাত্র কয়েক জন শিক্ষকের দ্বারা বিদ্যালয় পরিচালন হয়ে আসছে। কিন্তু ওই বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের নির্মম পরিহাস, যে কজন শিক্ষক শিক্ষিকা বিদ্যালয়ে আছে তাদের মধ্য থেকে আবার দুইজন ঠিকঠাক বিদ্যালয় আসেন না বলে অভিযোগ, মোটকথা বিদ্যালয়ে চলছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মর্জি মাফিক। আবার কখনো কখনো বিদ্যালয়ে এসে মদের আসর নিয়ে বসেন জনা কয়েক শিক্ষক। এরই মধ্যে দুইজন হলেন গুণধর শিক্ষক হলেন বিদ্যালয়ের ইনচার্জ প্রবীণ গোপ এবং কৃষ্ণ গোপাল রায়। ফলে স্বভাবতই এই বিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন ব্যাবস্থা লাটে উঠছে। এই বিষয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাধিকবার তাদের ফাঁকিবাজি বন্ধ করার জন্য বিদ্যালয় পরিচালন কমিটি এবং অভিভাবকদের তরফ থেকে সতর্ক করা হলেও এই বিষয়ে তেমন কর্ণপাত করেনি তারা।
তবে কথায় আছে না কোন এক বিশেষ প্রজাতির প্রাণীর লেজ কখনো সোজা হয় না, এ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও ঠিক এমনটাই। এই জাতীয় ঘটনা একের পর এক ঘটার পর অবশেষে সোমবার অতিষ্ঠ হয়ে বিদ্যালয় পরিচালন কমিটি এবং এলাকার অভিভাবকেরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে ওই শিক্ষকদের বিদ্যালয়ের ভেতরে আটকে রেখে বিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মুঙ্গিয়াকামী বিদ্যালয় পরিদর্শক। উনি গিয়ে গোটা ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে অভিভাবক এবং বিদ্যালয় পরিচালন কমিটি’কে আশ্বস্ত করেন যে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তিনি বিষয়টির সুরাহা করবেন এবং যে দুইজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে তাদের তাদের বিরুদ্ধে অতি শীঘ্রই ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরবর্তীতে বিদ্যালয় পরিদর্শকের এই আশ্বাসে বিদ্যালয়ের মূল ফটকের তালামুক্ত করে বিক্ষোব্ধ আন্দোলনকারীরা। তবে শিক্ষককে যেখানে সমাজের মেরুদন্ড বলা হয়, ভবিষ্যৎ গড়ার কারিগর বলা হয় আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে প্রবীন গোপ এবং কৃষ্ণ গোপাল রায়ের মতো কিছু সংখ্যক ফাঁকিবাজ,অপদার্থ শিক্ষকদের দৌলতে গোটা শিক্ষক জাতির যে নামটাই কলঙ্কিত হচ্ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
এখন দেখার বিষয় মুঙ্গিয়াকামী বিদ্যালয় পরিদর্শকের দেওয়া আশ্বাস অনুযায়ী আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই ঘটনার কোন কূল কিনারা করা হয় কিনা।