। ত্রিপুরা মহিলা কমিশনের উদ্যোগে মহিলা ও কন্যা সন্তানের বিরুদ্ধে অপরাধ সম্পর্কে হয়ে গেল সচেতনতা সভা। আজ মঙ্গলবার ৩০শে মে দুপুর বারোটা নাগাদ ত্রিপুরা রাজ্য মহিলা কমিশনের উদ্যোগে খোয়াই জেলা শাসকের কনফারেন্স হলে মহিলা এবং কন্যা সন্তানদের বিরুভদ্ধে ঘটে চলা অপরাধের বিরুদ্ধে আয়োজিত এদিনের এই সচেতনতা শিবিরে প্রদীপ জ্বালিয়ে শুভ উদ্বোধন করেন ত্রিপুরা রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামী। এছাড়াও এই সচেতনতা শিবিরে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্য মহিলা কমিশনের ভাইস চেয়ারপার্সন অস্মিতা বণিক, খোয়াই জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক সুভাষচন্দ্র সাহা, খোয়াই জেলা পরিষদের সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা, সহ-সভাধিপতি হরিশংকর পাল, খোয়াই পৌর পরিষদের চেয়ারপারসন দেবাশীষ নাথ শর্মা সহ অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিরা। এদিন ত্রিপুরা রাজ্য মহিলা কমিশনের উদ্যোগে খোয়াই জেলা শাসকের কনফারেন্স হলে মহিলা এবং কন্যা সন্তানদের বিরুদ্ধে ঘটে চলা অপরাধের বিরুদ্ধে আয়োজিত হয় সচেতনতা শিবিরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, সমাজে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের মধ্যে কন্যা সন্তানদের বিরুদ্ধে অপরাধ ও একটি। ত্রিপুরা রাজ্যে মহিলাদের সমস্ত রকম আইনি সহায়তার কেন্দ্র হচ্ছে ত্রিপুরা রাজ্য মহিলা কমিশন। মহিলাদের বিরুদ্ধে এবং কন্যা সন্তানদের বিরুদ্ধে ঘটে চলা বিভিন্ন অপরাধগুলি শূন্যের কোঠায় নামিয়া আনার লক্ষ্যে অবিরাম কাজ করে চলেছে ত্রিপুরা রাজ্য মহিলা কমিশন। এদিন পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি, সংবাদমাধ্যমের ভূয়সি প্রশংসা করে চেয়ারপারসন বলেন পুলিশ বা প্রশাসনের কাছ থেকে খবর পাওয়ার আগে আমরা সংবাদ মাধ্যমের কাছ থেকে অনেক আগেই মহিলা সংক্রান্ত খবর পেয়ে যাই ।কলেজ স্তরের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে আসা হয় এই সচেতনতা সভায়। চেয়ারম্যান বর্ণালী গোস্বামীর বক্তব্যের পর বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলাশাসক সুভাষচন্দ্র সাহা, পুলিশের পক্ষে ডিএসপি সুতপা দে, বক্তব্য রাখেন সি ডব্লিউ সি কমিটির সদস্য সুভাষচন্দ্র ঘোষ। এই তিনজনের বক্তব্যের মধ্যেই অনেক ফারাক খুঁজে পান চেয়ারম্যান। পুলিশ এবং অতিরিক্ত জেলা শাসকের বক্তব্যে নাবালিকা বিবাহের কোন তথ্য খোয়াই জেলায় নেই। কিন্তু সি ডব্লিউ সি কমিটির সদস্য সুভাষ ঘোষ পরিষ্কার ভাষায় বলেন গত দুই বছরে এই খোয়াই জেলায় নাবালিকা বিবাহের সংখ্যা ২৬ টি। তারপরেই প্রশ্ন উঠে কেন এইসব ক্ষেত্রে পুলিশে অভিযোগ জানানো হলো না। এ নিয়েই শুরু হয় সভার মধ্যে বিতর্ক। শুরু হয়ে যায় আইনি ব্যাখ্যা । এই আইনি ব্যাখ্যার মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইনজীবী অভিজিৎ ভট্টাচার্য, ননী গোপাল দেবনাথ ও বিকাশ দেব। আইনজীবীদের বক্তব্যের মধ্যেই শুরু হয়ে যায় আরো বিতর্ক। কিছুক্ষণের জন্য সভা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সবশেষে সমস্ত আইনকে মাথায় রেখে সবাই একযোগে কাজ করে মহিলাদের স্বাধীনতা ও নাবালিকা বিবাহ আটকাতে প্রয়োজনীয় সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে । এই আলোচনাতেই সবার কাজ সমাপ্ত হয়। আজকের এই সচেতনতা সভায় আরো যে বিষয়টি উল্লেখযোগ্যভাবে আলোচনা হয়েছে তা হলো মোবাইল নিয়ে। কিভাবে মোবাইলের মাধ্যমে সমাজে অপরাধ বাড়ছে। আজকের সভায় উপস্থিত একাধিক সদস্য মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা এবং মেয়েদের মধ্যে একটা অংশের কুরুচিকর পোশাক এসব নিয়েও দীর্ঘ আলোচনা হয়।