ঐন্দ্রিলা শর্মা, বাংলা অভিনয় জগতে এক তরুন চেহারা। অদম্য ইচ্ছে শক্তি তাঁর। অপরদিকে সব্যসাচী চৌধুরী সেও একজন সফল অভিনেতা। বর্তমান সময়ে প্রকৃত ভালোবাসা যখন হারিয়ে যাচ্ছে, যখন জীবনে প্রকৃত মানুষটা পাওয়া খুব কঠিন তখন সব্যসাচী বুঝিয়ে দিয়েছে ভালোবাসার মানে, বুঝিয়ে দিয়েছে কিভাবে ভালোবাসতে হয়। কিভাবে পাশে থাকতে হয়, কিভাবে একে অপরের শক্তি হতে হয় তা যেন চোখে আঙুল দিয়ে বার বার দেখিয়ে দিয়েছে সব্যসাচী।
এ যেন এক অটুট প্রেমকাহিনি। মৃত্যুও যেখানে হার মেনেছে বারে-বারে। সব্যসাচী চৌধুরী ও ঐন্দ্রিলা শর্মার সম্পর্ক ঠিক এমনই সুরে সাজানো। তবে সেই স্বপ্নের রূপকথা আজ যেন তাসের দেশের মতো ভেঙে পড়ল রবিবার। সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে চিরঘুমের দেশে পাড়ি দিলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। নবান্নের পাশে বেসরকারি হাসপাতালে অবশেষে থামল লড়াই। রবিবারই প্রয়াত হলেন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ২৪ বছর।
রবিবার সব্যসাচীর আশঙ্কাই হল সত্যি। এদিন বেলা ১টায় শান্তিশয়নে ঐন্দ্রিলা। খবর সামনে আসার পর থেকেই শোকের ছায়া সর্বত্র। ২০১৫ সাল থেকে শুরু হয় ঐন্দ্রিলার লড়াই। মারণ রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। দিল্লিতে তাঁর ব্যোন ম্যারো ক্যানসারের চিকিৎসা হয়েছিল। তবে সেই লড়াই থামতে না থামতেই ২০২১ সালে ধরা পড়ে ফুসফুসে টিউমার। সেখানেই অপরাজেয় তিনি। সব্যসাচীর লড়াইয়ের পাশে হার মানে সমস্ত নেগেটিভিটি। তবে ২০২২-এর ধাক্কা আর সহ্য করতে পারলেন না অভিনেত্রী। এইবার তাঁর অসুস্থতার খবর সামনে আসুক, চাননি খোদ অভিনেতা সব্যসাচী। তবে নিজেই দু’বার এই প্রসঙ্গে চিন্তিত দর্শকদের, শুভাকাঙ্খীদের জানিয়েছেন ঐন্দ্রিলার খবর। তবে শেষ পোস্টেই মিলেছিল ইঙ্গিত– ভাল নেই ঐন্দ্রিলা। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই মিলল খবর। শোকস্তব্ধ নেটপাড়া।