মায়ের গর্ভে জোরা ও ব্রীচ পজিশনে থাকা শিশুকে নর্মাল প্রসব করানো গর্জির মত প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অত্যন্ত বিরল।
চিকিৎসক ডাঃ সপ্তদ্বীপ দাসের সাহসী পদক্ষেপে আজ স্বাধীনতার সূর্যো দয়ের সঙ্গে সঙ্গে চিত্তামারার বাসিন্দা পারুল দেবী জমাতিয়ার নিরাপদে প্রসব করান। প্রসব প্রক্রিয়া জটিল এবং সময় নিলেও চিকিৎসক দল নিরাপদে প্রসব করান।
গতকাল রাতে প্রসবের জন্য পারুল দেবীকে বিলোনিয়া থেকে গোমতী জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু যাওয়ার পথেই অবস্থা সংকটজনক বুঝতে পেরে গাড়ীর চালক গর্ভবতী মাকে দ্রুত সবচেয়ের কাছের গর্জি প্রাথমিক হাসপাতালে সোজা নিয়ে আসেন ।
ডাঃ সপ্তদ্বীপ দাস জানান, এই মাকে রেফার করানোর মত অবস্থায় ছিল না। গর্ভে জোরা শিশু। একটি শিশুর পজিশন ছিল সম্পূর্ণ ব্রীচ মানে পা নিচের দিকে ও মাথা উপরের দিকে । সঙ্গে শিশুর হাঁটু বাঁকানো। অন্য শিশুটির ফুটলিং ব্রীচ মানে এক পা মায়ের জরায়ুর উপর নিচু করা। এটা আমাদের জন্য চেলেঞ্জিং ছিল। রেফার করলে দেরি হয়ে যেত এবং মা এবং শিশুর প্রাণ সংকটজনক হয়ে পড়ত । যে কোন কিছু হয়ে যেতে পারত । তাই আমরা কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। স্টাফ নার্স রাও সাহস দেখান। প্রসব যখন সম্পূর্ণ হয় তখন আজ ভোর ৬টা ১৫। অর্থাৎ স্বাধীনতার সূর্যোদয় । দুটি শিশুই পারুল দেবীর কন্যা সন্তান । দুটি শিশুর ওজন আড়াই কেজির উপরে। দুইজনই এখন সম্পূর্ণ সুস্থ।
ডাঃ সপ্তদ্বীপ দাস জানান, জননী শিশু সুরক্ষা যোজনা ও জননী সুরক্ষা যোজনা সহ জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে শিশুকে মায়ের প্রথম শাল দুধ খাওয়ানো হয়েছে। বার্থ ডোজ টিকাও দেওয়া হয়ে গেছে।