প্রধানমন্ত্রী পদে টানা তৃতীয় বার শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। এনডিএ জোটের তরফে ইতিমধ্যেই সরকার গঠনের দাবি জানানো হয়েছে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে। সেই মতো রবিবার নয়াদিল্লিতে হবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে যেমন উপস্থিত থাকবেন দেশের রাজনৈতিক মহলের প্রথম সারির ব্যক্তিত্বরা। পাশাপাশি অন্য রাষ্ট্রের বেশ কয়েক জন নেতাও উপস্থিত থাকবেন মোদীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের শপথের অনুষ্ঠানে। সে জন্য ইতিমধ্যেই কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেল হচ্ছে দেশের রাজধানীকে। জি২০ বৈঠকের সময় যে রকম বিধিনিষেধ জারি হয়েছিল রাজধানী দিল্লিতে, মোদীর শপথগ্রহণে সে রকমই কড়াকড়ি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
রাষ্ট্রপতি ভবনেই হবে নতুন সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। রবিবার এই অনুষ্ঠানের জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ। একাধিক স্তরীয় নিরাপত্তার আয়োজন করা হয়েছে। পুলিশকর্মীরা ছাড়াও প্যারামিলিটারি ফোর্স, এনএসজি কম্যান্ডোরাও থাকবেন নিরপত্তার দায়িত্ব। এর পাশাপাশা স্নাইপার এবং ড্রোনের মাধ্যমেও নজরদারি চালানো হবে। যে সমস্ত অতিথিরা শপথের অনুষ্ঠানে আসবেন, তাঁদের নিরাপত্তার জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। হোটেল থেকে কে কোন রুটে আসবেন এবং বেরিয়ে যাবে তা নির্দিষ্ট করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক।
এর পাশাপাশি দিল্লিবাসীকেও আগামী কয়েক দিন মেনে চলতে হবে একাধিক বিধিনিষেধ। যেমন দিল্লির আকাশে এখন ড্রোন বা কোনও ধরনের ফ্লাইং অবজেক্ট ওড়ানো একেবারে নিষিদ্ধ। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে দিল্লি পুলিশ। আগামী কয়েক দিনে ট্রাফিক রুটেরও একাধিক পরিবর্তন করা হয়েছে। বেশ কিছু রাস্তা দিয়ে যান চলাচলে নিষেধ জারি হয়েছে, তো কোনও রুটের গাড়িকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়াও হচ্ছে। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রচুর বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ঢেলে সাজানো হচ্ছে। সব মিলে এনডিএ সরকারের শপথ গ্রহণ ঘিরে নিরাপত্তা আধিকারিকদের ব্যস্ততা চরমে।
