কৈলাশহর বিধানসভা কেন্দ্র অন্তর্গত ধলিয়ার কান্দি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা চিনু মিয়া কিছু জায়গা ক্রয় করে বাড়িঘর তৈরি করেছিলেন। এরপর থেকে পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা হাজী রোশন আলী দাবি করেন চিনু মিয়ার বাড়ির পাশ দিয়ে একটি রাস্তা ছিল। চিনু মিয়া সেই রাস্তা আছে বলে মানতে নারাজ। শেষ পর্যন্ত কয়েকবার পঞ্চায়েতে সালিশি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সালিশি সভার মাধ্যমে সেই রাস্তার ব্যাপার সমাধান হয়নি। শেষ পর্যন্ত হাজী রোসন আলী এবং চিনু মিয়া আইনের দ্বারস্থ হন ।২০১৬ সাল থেকে কোর্টে মামলা চলছে। বুধবার সকালে হঠাৎ করে চিনু মিয়ার বাড়ির বেড়া ভাঙচুর করা হয়।এই সময় চিনু মিয়া বাড়িতে ছিলেন না।চিনু মিয়া ছিলেন উনার মিষ্টির দোকানে এবং উনার ছোট ছেলে ছিলেন টিলাবাজারে ল্যাবরেটরীতে। হঠাৎ করে চিনু মিয়ার কাছে খবর আসে যে ওনার বাড়িতে বেড়া ভাঙচুর চলছে। খবর পেয়ে চিনু মিয়া এবং উনার ছেলে বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান উনার বাউন্ডারির বেড়া ভাঙচুর করা সহ কয়েকটি কলার গাছ কেটে দেওয়া হয়েছে। চিনু মিয়া অভিযোগ করেন, এই রাস্তার জায়গা নিয়ে কোটে মামলা চলছে।আজ সকাল আটটার সময় সিহাব আলী এবং মোস্তফা মিয়া মিলে চিনু মিয়ার বাড়ির বেড়া এবং কলা গাছ কেটে দিয়েছে।এর পর চিনু মিয়া কৈলাশহর ইরানী থানাতে ঘটনাটি জানান l খবর পেয়ে ইরানি থানা থেকে ছুটে আসেন এ এস আই গোপাল বর্ধন সহ বিশাল টিএসআর সহ পুলিশ বাহিনী। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আগে যে পরিস্থিতিতে বেড়াচ্ছিল সেই ভাবে বেড়া থাকার জন্য নির্দেশ দেয়। একান্ত সাক্ষাৎকারের চিনু মিয়া বলেন , কোর্টে যে রায় দেবে সেই রায় মাথা পেতে নেবেন। অন্যদিকে হাজী রোসন আলীর পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে তারা কয়েকবার কোর্টের রায়ের পেয়েছেন তাদের রাস্তা দেওয়ার জন্য কিন্তু চিনু মিয়া রাস্তা দিচ্ছেন না। হাজী রোসন আলীর ছেলে একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন যে আগামী ৩১ মার্চ পুনরায় কোর্টে রায় ঘোষণা হবে এই রায় চিনু মিয়ার বিপক্ষে যাবে বলে চিনু মিয়া বেড়া এবং কলা গাছ কেটেছেন। এখন দেখার পুলিশ তদন্ত করে আসল রহস্য কি উন্মোচন করে