সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রশাসন ও বিজেপির বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন ২০২৩সালের ৫২-চন্ডীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তিপ্রা মথা দলের প্রার্থী তথা তিপ্রা মথা দলের সিটিজেন ফোরামের রাজ্য সভাপতি রঞ্জন সিনহা!
নিগো বাণিজ্যে নিয়ে অশান্ত কৈলাসহরে নগদ নারায়নের অঙ্কে সাদা থেকে কালো পাঞ্জাবির কেরামতি চলছে সর্বত্র। আর বর্তমান কৈলাসহরের এটাই ট্রেন্ড। সরকারী কাজ দেখলেই আড়ালে ঝাপিয়ে পড়ছেন অনেকেই,উদ্দেশ্য একটা টাকা চাই ! শুধু টাকা,টাকা আর টাকা চাই। তাতে যদি করো প্রাণও যায় তবুও টাকা চাই। আর এই নিগো বাণিজ্যের মাস্টার মাইন্ড কারা সকলের কাছে অজানা না হলেও ভয়ে মুখ খুলছেননা কেউই। অনেকেই আবার ঠাট্টার ছলে এও বলছেন “তোমার কর্ম তুমি করো মা,আমার কর্ম আমি”। তবে এবার শহরের অশান্ত ও উৎশৃঙ্খল পরিবেশ নিয়ে মুখ খুললেন এক সময়ের ঊনকোটি জেলার প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি তথা বর্তমান তিপ্রা মথা দলের সিটিজেন ফোরামের রাজ্য সভাপতি রঞ্জন সিনহা। আটাশ জুন শুক্রবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ উনার কৈলাসহরের চিরাকুটি এলাকার নিজ বাসভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন তিপ্রা মথা দলের সিটিজেন ফোরামের রাজ্য সভাপতি রঞ্জন সিনহা। সাংবাদিক সম্মেলনে রঞ্জন সিনহা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিটিজেন ফোরামের ঊনকোটি জেলা কমিটির সভাপতি রতন মনি সিনহা। সাংবাদিক সম্মেলনে রঞ্জন সিনহা বলেন, গত ছাব্বিশ জুন বুধবার কৈলাসহরের বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় ঠিকাদারী কাজ নিয়ে গোলধারপুর এলাকায় যে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে তা শান্ত শহরকে অশান্ত করতেই কিছু দুষ্ট চক্রের এই পরিকল্পনা। মারপিটের ঘটনা সংগঠিত হওয়ার পর সেখানে আহতদের ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন তারা। আর তার কিছুক্ষণ পর উনার বাড়ির সামনে জাতীয় সড়কে রাখা গাড়িতে আক্রমণ করে শাসকদল আশ্রিত কর্ণজিত সিনহা, হিমাদ্রি সিনহা সহ আরও কিছু দুষ্কৃতকারীরা। এই ঘটনার সাথে জড়িত আসামি কর্ণজিত সিনহাকে বাঁচানোর জন্য বুধবার ও বৃহস্পতিবার চেষ্টা করা হয় বিজেপি দলের পক্ষ থেকে।রঞ্জন বাবু বলেন, এই কান্ড দেখার পর লজ্জা হয় বলতে যে, আমরা বিজেপি সরকারের সাথে যৌথভাবে সরকার চালাচ্ছি। এই ঘটনা সংগঠিত হওয়ার সময় রঞ্জন সিনহা কৈলাসহর থানার ওসিকে তিনবার ফোন করে সতর্ক করেন যে, এলাকায় বহিরাগত যুবকদের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। তিনবার ফোন করার পরও কৈলাসহর থানার ওসি সতর্ক হননি। তিনি পুলিশ পাঠাননি। রঞ্জন সিনহা জানান, তার গাড়ি ভাঙচুর করার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। অথচ এই গাড়ি ভাঙচুর ও নিরীহ যুবক সন্তোষ সিনহাকে যে মারধোর করেছে সেই কর্ণজিত সিনহাকে পুলিশ গ্রেপ্তার না করে তার বাড়ি সি.আর.পি.এফ দিয়ে পাহারা দিয়ে রেখেছে। এভাবে একজন অপরাধীর বাড়ি পাহারা দিয়ে রাখার ঘটনা রাজ্যে বিরল। তিনি বলেন বর্তমান বিজেপি দলে সমাজদ্রোহী ও দুষ্কৃতীতে ভরে গেছে। যার ফলে বর্তমানে বিজেপি দল নিজেদের আদর্শ থেকে অনেক দূরে চলে গেছে। যার প্রকৃত উদাহরণ গত বুধবারের ঘটনা। এই ধরনের ঘটনার তিনি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আগামী দিনে এই ধরনের ঘটনা সংগঠিত হলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে