এমনিতেই নামমাত্র বেতনে সাব্রুম নগর পঞ্চায়েত এলাকায় বাড়ি বাড়ি থেকে ময়লা আবর্জনা সংগ্রহ করার কাজ করছেন নগর পঞ্চায়েতের সাফাই কর্মীরা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ময়লা আবর্জনা সংগ্রহ করার কাজের বিনিময়ে মাসিক তারা তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা মাইনে পান। তবে আরো জানা যায় সাফাই কর্মীদের প্রথমে যে বেতন দেওয়ার কথা ছিল এবং প্রথমে যে বেতন দেওয়া হতো বর্তমানে তার থেকে বেতন আরো কমিয়ে দেওয়া হয়েছে তাহলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে এই মাইনে দিয়ে দিন গুজরান করার এমনিতেই জো নেই তার উপর গত কিছুদিন আগে নগর পঞ্চায়েতের সাফাই কর্মীদের আগের কর্মক্ষেত্র নিজের ওয়ার্ড এলাকা থেকে অন্য ওয়ার্ড এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে আবর্জনা সংগ্রহের জন্য নির্দেশ জারি করা হয়। যার ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাফাই কর্মীদের। কেউ কেউর তো নতুন কাজের জায়গায় যেতে গাড়িতে যেতে হবে তাতে এই কম বেতনে গাড়ি ভাড়া দিয়ে কাজে গিয়ে কিভাবে কাজ করবেন তা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ কপালে। অন্যদিকে এ বিষয় নিয়ে সোমবার সাব্রুম নগর পঞ্চায়েতের এক্সিকিউটিভ অফিসার তথা মহকুমা শাসক শিবজ্যোতি দত্ত মহাশয়ের সাথে দেখা করে নগর পঞ্চায়েতের সাফাই কর্মীরা তাদের অসুবিধার কথা তুলে ধরেন এবং এরকম অমানবিক সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসার জন্য নগর পঞ্চায়েত প্রশাসনকে অনুরোধ জানান। কিন্তু মহকুমা শাসকের কক্ষে নগর পঞ্চায়েত চেয়ারপার্সনের উপস্থিতিতে সাফাই কর্মীদের সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় বর্তমানে তাদেরকে যেখানে কাজ করতে দেওয়া হয়েছে সেখানেই তাদেরকে কাজ করতে হবে এতে কোন পরিবর্তন হবে না এবং এই বেতনেই। যাতে করে অনেকেই কিভাবে কাজ করে যাবেন সে নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
মহকুমা শাসক অফিসে সাফাই কর্মীদের উপস্থিতির খবর পেয়ে সেখানে আমাদের সংবাদ প্রতিনিধি পৌছালে, মহকুমা শাসকের সাক্ষাতের জন্য অপেক্ষারত সাফাই কর্মীদের কাছ থেকে কি কারনে তারা মহকুমা শাসক কার্যালয় এসেছেন জানতে চাওয়া হলে তারা তাদের অসুবিধা কথা তুলে ধরেন। কিন্তু মহকুমা শাসকের সাথে সাক্ষাতের পরে উনারা কেউই আর ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে নারাজ কেননা তাদেরকে কি কারনে তারা সাংবাদিকের সামনে মুখ খুলেছেন তার জন্য শাসানো হয় খোদ মহকুমা শাসকের কক্ষে।