দশ দিন সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও পুলিশ আজ অব্দি থানায় স্ত্রীর নিখোঁজ ডায়েরি নেয়নি বলে পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেন স্বামী। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনা কৈলাসহরের ইরানী থানার বিরুদ্ধে। কৈলাসহরের শ্রীনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচ নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা লুৎফুর রহমান। সাতাশ মে শনিবার বিকেলে লুৎফুর রহমান নিজ বাড়িতে সংবাদ প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হয়ে জানায় যে, ২০২০সালের নভেম্বর মাসে শ্রীনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতেরই সাত নং ওয়ার্ড এলাকার কুলসুমা বেগম লাকীকে সামাজিক ভাবে বিয়ে করে। বিয়ের পর সংসার ভালোই চলছিলো। বিয়ের সাত মাস পর স্বামী লুৎফুর রহমান সৌদিআরবে চলে যায় কাজের সন্ধানে। সৌদিআরবে এক বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলো স্বামী লুৎফুর রহমান। সংসার প্রতিপালন করার জন্য প্রতিমাসে লুৎফুর রহমান স্ত্রী কুলসুমা বেগমের ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠাতো বলেও জানায়। বিদেশ থেকে প্রতিদিন লুৎফুর রহমান স্ত্রী কুলসুমা বেগম সহ বাড়ির সবার সাথে মোবাইলে কথা বলতো। হঠাৎ করে চলতি মাসের আঠারো মে বৃহস্পতিবার স্ত্রী কুলসুমা বেগম স্বামীর বাড়ি থেকে সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ বাপের বাড়ি যাবে বলে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। আঠারো মে বৃহস্পতিবার দুপুরে লুৎফুর রহমান বাড়িতে ফোন করে ঘরের সবার সাথে কথা বলে জানতে পারে কুলসুমা তার বাপের বাড়িতে গেছে। একথা শোনে লুৎফুর রহমান শ্বশুর বাড়িতে ফোন করে জানতে পারে স্ত্রী কুলসুমা বেগম বাপের বাড়ি আসেনি। এই খবর শোনা মাত্রই লুৎফুর রহমান শ্বশুর বাড়ির মানুষদের বলে যে, ইরানি থানায় লিখিত অভিযোগ করার জন্য। অপরদিকে লুৎফুর রহমান নিজ বাড়িতে ফোন করে বড় ভাই মনোহর আলীকেও বলে ইরানি থানায় লিখিত অভিযোগ জানানোর জন্য। আঠারো মে ইরানি থানায় দুইটি লিখিত অভিযোগ জানানো হলেও ইরানি থানার পুলিশ কোনো ধরনের নিখোঁজ ডায়েরি রেজিস্ট্রি করে নি কিংবা দুই তিন দিন অতিক্রান্ত হয়ে যাবার পরও পুলিশ কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি। এসব শোনে লুৎফুর রহমান সৌদিআরব থেকে তড়িঘড়ি করে ছাব্বিশ মে কৈলাসহরের শ্রীনাথপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে এসে ঘরের সবার সাথে কথা বলে সবকিছু ভালো করে বুঝার পর শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে শ্বশুর বাড়ির সবার সাথেও কথা বলে। এরপর লুৎফর রহমান নিজে ইরানি থানায় গিয়ে ফের আরেকটি লিখিত ভাবে নিখোঁজ ডায়েরি করে এবং ইরানি থানার পুলিশ লুৎফর রহমানকে দশ বারো দিন পরে থানায় আসার জন্য বলায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে লুৎফর রহমান। ইরানি থানার এহেন কান্ডকারখানায় লুৎফর রহমান হতাশ হয়ে পড়ে সাতাশ মে শনিবার বিকেলে কৈলাসহরের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের খবর দিয়ে শ্রীনাথপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে নিয়ে স্ত্রী কুলসুমা বেগমের নিখোঁজ ঘটনা সম্পর্কে জানায়। এবং ইরানি থানার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে জানায় যে, প্রায় দশ দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও ইরানি থানার পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বরং ইরানি থানার পুলিশ উনার সাথে খারাপ আচরণ করেছে বলে জানায়। লুৎফর রহমান নিখোঁজ স্ত্রী কুলসুমা বেগমের কথা বলতে গিয়ে ভেংগে পড়ে। পুলিশ প্রশাসন যেন খুব শীঘ্রই উনার নিখোঁজ স্ত্রী কুলসুমা বেগমকে উদ্ধার করে উনার হাতে তোলে দেয় এই অনুরোধ করেন লুৎফুর রহমান। এছাড়া নিখোঁজ স্ত্রী কুলসুমা বেগমের ব্যাপারে কেউ সাহায্য করলে সেই ব্যাক্তিকে কিংবা নিখোঁজ স্ত্রী কুলসুমা বেগমকে খোঁজে বের করে দিলে লুৎফুর রহমান আর্থিক ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করবে বলেও সংবাদ মাধ্যমকে জানায় লুৎফুর রহমান