হতাশায় ভুগছেন জেআরবিটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বেকার যুবক-যুবতীরা। নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি সরকারের কাছে বারবার জানিয়ে আসলেও, নেই কোন উদ্যোগ। তাই নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হবার পর নিয়োগের দাবিতে আবারও সোচ্চার হলো বেকার যুবক-যুবতীরা। রবিবার সরকারি ছুটির দিন এমনটা দেখা গেল রাজধানীর আগরতলার সিটি সেন্টারের সামনে। এদিন হতাশাগ্রস্ত বেকার যুবক-যুবতীরা তাদের দাবি সম্বলিত হাতে প্লেকার্ড নিয়ে সোচ্চার হোন। ইতিমধ্যেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বেকার যুবক যুবতীদের একাংশ বয়সোত্তীর্ণের দিকে। তাই অবিলম্বে ঘোষণা মোতাবেক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দাবি জানান এদিন বেকাররা।রাজ্য সরকার ২০২০ সালে বিভিন্ন দপ্তরে গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি শূন্য পদে নিয়োগ করার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। সেই বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক ২০২১ সালের আগস্ট মাসে অনুষ্ঠিত হয় যোগ্যতা নির্ণয়ক পরীক্ষা। এতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত শহর বহির রাজ্যের হাজার হাজার বেকার যুবক-যুবতীরা অংশ নেয়। এই পরীক্ষা নিয়ে পরবর্তী সময়ে অভিযোগ মূলে একাংশ যুবক আদালতের দারস্ত হলে, দীর্ঘদিন বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন ছিল। অবশেষে গত ডিসেম্বর মাসে আদালতের নির্দেশে ফলাফল ঘোষণা করে জেআরবিটি। এতে ৪৯১০ জন বেকার যুবক-যুবতী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। যারা এখন প্রত্যাশায় রয়েছেন নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ার। কিন্তু ফলাফল ঘোষণা করার পর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলে, মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ায় নির্বাচন। ইতিমধ্যেই নির্বাচন প্রক্রিয়াও সম্পন্ন। এরপরেও কোন এক অজ্ঞাত কারণে বন্ধ রয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। এতে করে স্বাভাবিকভাবেই হতাশায় ভুগছেন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বেকার যুবক-যুবতীরা। তাই অবিলম্বে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দাবি নিয়ে রবিবার আগরতলা সিটি সেন্টারের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সামিল হলেন বেকাররা। তাদের অভিযোগ সরকার নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে ছিনিমিনি খেলা খেলছে। অভিলম্বের তা বন্ধ করে দ্রুততার সাথে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দাবি জানান এদিন বেকাররা। নতুবা বাধ্য হয়েই আগামী দিন তারা চাকুরীর দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা বার্তা দিলেন।