১৩ বছর বাদে ছেলের মুখ দেখা তাও আবার মৃত্যু শয্যায়। বাবার অভাবের সংসার পুত্রের চাকরির টাকায় কিছুটা মিটে যেত। আর সেই টাকায় কেড়ে নিল একমাত্র পুত্রের জীবন। হৃদয়বিদারক ঘটনা তেলিয়ামুড়া থানা দিন করল অস্থিত শান্তিপারা এলাকায়। ঘটনায় যারা যায় তেলিয়ামুড়ার মহারানীপুর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় এর স্বনামধন্য শিক্ষক চন্দ্রশেখর সাহা নিজ বাড়ি করলাম এলাকায় গত 13 তারিখ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হল ছেলের মৃত্যুর সংবাদ টুকু ও নার পুত্রবধূ শশুর মহাশয় কে জানানোর প্রয়োজনটুকু উপলব্ধি করেনি পুত্রবধূ। মৃত্যুর পর লোকমুখে খবর পেয়ে আগরতলার যোগেন্দ্রনগর থেকে ছুটে আসেন বাবা দুলাল চন্দ্র সাহা। সেই তেরো বছর পর ছেলের মুখ দেখা তাও হাসপাতালের মর্গে। কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ছেলের চোখ ভোজা মৃত্যু দেহ দেখা মাত্রই। কি ছিল ভুল! গরিব বাবার। তিন মাসে কুড়ি হাজার টাকা দিতেন মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়া একমাত্র পুত্র চন্দ্রশেখর সাহা। ছেলের চেহারা দেখবার জন্য প্রতিবারে পুত্রের বাড়িতে আসলে তিরস্কার ছাড়া আর কিছুই পায়নি হতভাগ্য পিতা। একমাত্র পুত্র চন্দ্রশেখর সাহা ছিল সাহার। এমন হতভাগ্য এবং হতদরিদ্র বাবার একমাত্র সাহায্য করে আসছিল মৃত চন্দ্রশেখর সাহা। আখি ভরা নয়ন জলে ছেলেকে শেষ শেষবারের মতো বিদায় জানাতে হয়েছে শ্মশান ঘাটে। মৃত্যুর কয়েক মাস আগেও খবরা খবর নিতেন হতদরিদ্র হতভাগ্য পিতা। কিন্তু পিতার অভিযোগ, নিজের মনের মধ্যে না চাপাতে পেরে মৃত্যুর সুস্থ তদন্ত আরজি নিয়ে থানায় ধারস্থ হলেন হতভাগ্য পিতা। বর্তমানে পুলিশের উপরে আস্থা রেখে ছেলের মৃত্যুর আসল রহস্য উদঘাটনে শেষ বিন্দুটুকু পুলিশের কাছে নত সেই হতভাগ্য পিতা দুলাল।
তবে আখি জলে শেষ বিদায় জানিয়ে থাকলেও, পুত্রবধূর বিরুদ্ধে ছেলেকে মারধর এবং পিতার সঙ্গে দেখা না করার অভিযোগ দুলাল চন্দ্র সাহা। আগেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছেলের ভাগ্য এবং উন্নতির জন্য নিজের চাকরিটুকু ছেড়ে দিয়েছিলেন দুলাল চন্দ্র সাহা। শেখ পুত্রের বেদনায় কাতর হয়ে বর্তমানে ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে অসহায় পিতা আজ আজ দিচ্ছো শুরু করে ছেলের সঠিক তদন্ত কামনার্থে পুলিশের দ্বাদস্ত হতে বাধ্য হয়েছে।
যে পুত্রকে বাঁচানোর তাগিদে নিজের সবকিছু হারিয়েছিল তৎসময়ে। কি ছিল সেই কালের পরিস্থিতি। উগ্রবাদীরা অপহরণ করেছিল মৃত চন্দ্র শেখর সাহাকে। নিজের চাকরি ছেড়ে পুত্রকে উগ্রবাদীদের কাছ থেকে ফিরিয়ে এনেছিল। আর তার কিছুদিন বাদে ছেলেকে বিয়ের সাত পাকে বাধা হয়েছিল। বছর কয়েক ভালো ভাবে চললেও ডাইনি ভাবাপূর্ণ শিক্ষক চন্দ্রশেখর সাহার গৃহধর্মিনী অত্যাচার শুরু করে বলে অভিযোগ পিতার। এমন কি 13 বছর ধরে নিজের পুত্রকেও দেখার সৌভাগ্য হয়নি হত দরিদ্র পিতা দুলাল চন্দ্র সাহার। বারবার পুত্রের সঙ্গে দেখা করতে গেলেও তাড়িয়ে দেয় রাক্ষস রূপে ডাইনি মৃত তন্ত্রের সকল সহজ গৃহধর্মিনী।
তবে পিতা দুলাল চন্দ্র সাহা ১৩ বছর পর পুত্রের মৃতদেহ আফশা আফশা অশ্রুধারা নিয়ে ছেলেকে শেষবারের মতো দেখা হল হাসপাতালের মর্গে। কিন্তু দুলাল চন্দ্র সাহা চাইছেন যেন বেঁচে থাকার জন্য শেষ ও বলবো সরকারিভাবে প্রদান করা হয়ে থাকে। এখন দেখার বিষয় পুলিশ প্রশাসন কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন মৃত শিক্ষক চন্দ্রশেখর সাহার মৃত্যুর বিষয় নিয়ে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous post বিজেপি কর্মীকে রাস্তায় ফেলে পেটানো
Next post বিলোনিয়া সাড়াসিমা এলাকায় হ্যাকারদের নতুনভাবে প্রতারণার শিকার এক ব্যাংক গ্রাহক।
%d bloggers like this: