আধুনিক যুগে সব কাজই হয় মোবাইলের মাধ্যমে। সন্ত্রাসবাদও ধীরে ধীরে জাল ছড়াচ্ছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ও মেসেজিং অ্যাপের মাধ্য়মে যুব প্রজন্মকে প্রভাবিত করছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি। সন্ত্রাসবাদীদের এই কার্যকলাপ রুখতেই বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের। নিষিদ্ধ করা হল ১৪টি মোবাইল মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন। কেন্দ্রীয় সূত্রে জানানো হয়েছে, যে অ্য়াপগুলির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, সেগুলি মূলত জম্মু-কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি ব্যবহার করছিল তাদের সমর্থক ও ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কারদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। পাকিস্তান থেকেও তাদের কাছে নির্দেশ আসত বলেই জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যে মেসেজিং অ্য়াপ্লিকেশনগুলির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, সেগুলি হল ক্রিপভাইসর, ইনিগমা, সেফসুইস, উইকারমি, মিডিয়াফায়ার, ব্রিয়ার, বিচ্যাট, ন্যান্ডবক্স, কনিয়ন, ইমো, এলিমেন্ট, সেকেন্ড লাইন, জ়াঙ্গি, থ্রিমা।
এই ১৪টি অ্যাপের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারির কারণ হিসাবে নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা তথ্যকেই উল্লেখ করা হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে ব্যান করা অ্যাপগুলির যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, দেশের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ভারতীয় আইনও মানা হয়নি বলেই জানানো হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি আইন, ২০০০-র ৬৯এ ধারার অধীনে এই অ্যাপ্লিকেশনগুলি ব্যান করে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানানো হয়েছে, উপত্যকায় উত্তেজনা ছড়ানোর উদ্দেশেই এই মেসেজিং অ্য়াপগুলি ব্যবহার করা হত। জম্মু-কাশ্মীরে ওভারগ্রাউন্ড ওয়ার্কারদের সঙ্গে জঙ্গিরা কীভাবে যোগাযোগ করে, তা ট্রাক করতে গিয়েই তদন্তকারী সংস্থা জানতে পারে যে ওই অ্যাপ্লিকেশনের ভারতে কোনও প্রতিনিধি নেই। ওই অ্যাপের মাধ্যমে কী কী গতিবিধি হচ্ছে, তাও জানা যাচ্ছে না। সেই কারণেই ওই অ্যাপগুলি ব্যান করে দেওয়া হয়েছে।