গত কিছু দিন ধরেই প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান নিয়ে প্রচার তুঙ্গে ছিল। ৩০শে এপ্রিল রবিবার ‘মন কি বাত’ সম্প্রচারের কথা টুইট করে জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘও। রাষ্ট্রসংঘের ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল চেম্বারে প্রচারিত হয়েছে অনুষ্ঠানটি। সব মিলিয়ে কার্যতই দেশ তো বটেই, বিদেশেও ‘মন কি বাত’-এর ১০০তম পর্ব স্পর্শ করাকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ করা গিয়েছে। সেই আবেগ ঝরে পড়েছে প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠস্বরেও। এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ”আমার কাছে ‘মন কি বাত’ ঈশ্বররূপী জনতা জনার্দনের চরণে প্রসাদের থালার মত। ‘মন কি বাত’ আমার মনের আধ্যাত্মিক যাত্রা। ‘মন কি বাত’ স্ব থেকে সমষ্টিতে যাত্রা। জনপ্রিয় এই অনুষ্ঠানের প্রতিটি পর্বেই দেশের বহু মানুষের সঙ্গে কথা বলেন মোদি। যাঁরা নিভৃতে দেশের মানুষের সেবা করে চলেছেন, এমন বহু মানুষের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। অনুষ্ঠানের পরে সেই মানুষগুলিও হয়ে উঠেছেন পরিচিত মুখ। এদিন তেমনই কয়েকজনের সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী। এঁদের সঙ্গে আগেও কথা হয়েছিল তাঁর। তাঁদেরই অন্যতম হরিয়ানার সুনীল জাগলন। ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ কর্মসূচির কথা বলতে গিয়ে মোদি উল্লেখ করেন ‘সেলফি উইথ ডটার’-এর জনপ্রিয়তার কথা। এর পিছনে অন্যতম মুখ সুনীল। তাঁর সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি মণিপুরের বিজয় শান্তি ও কাশ্মীরের মঞ্জির আলমের সঙ্গেও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁরাও স্ব স্ব ক্ষেত্রে মানুষের কল্যাণে ব্রতী হয়ে ছেন।এদিন মন কি বাতের ১০০ তম সংস্করণে ইউনেস্কোর ডিরেক্টর জেনারেল আড্রে আজুলে বিশেষ বার্তা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে।