আজ থেকে ৭ বছর আগে তথা ২০১৬ সালে খোয়াই এলাকার বাসিন্দা তপতী দাসের সাথে সামাজিক রীতি নীতি বিয়ে হয় অম্পিনগর দাসপাড়া এলাকার বাসিন্দা প্রসেনজিৎ দাসের। বিয়ের পর কয়েক মাস সব কিছু ভাল ভাবে চললেও এরপরই প্রসেনজিৎ এর আসল রূপ বেরিয়ে আসে প্রকাশ্যে । প্রসেনজিৎ জুয়া খেলার জন্য স্ত্রী’র স্বর্ণালংকার বিক্রি করে দেয়।শুধু তাই নয়, প্রসেনজিৎ প্রতিনিয়ত তার স্ত্রীর উপর নির্যাতন চালায় বাপের বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য। তপতী নির্যাতন থেকে বাঁচতে বাপের বাড়ি থেকে কয়েক বার টাকাও এনে দেয় স্বামী প্রসেনজিৎকে। এতেও ক্ষান্ত থাকতে না পেরে প্রসেনজিৎ নিজের দুই সন্তানের স্বর্ণালংকার বিক্রি করে দেয় জুয়া খেলার জন্য। এমনভাবে চলতে থাকার পর ভালবাসার টানে আচমকা প্রসেনজিৎ দাস আগরতলার আনন্দ নগরের বাসিন্দা বিবাহিত মহিলা সুমি ঘোষকে নিয়ে চম্পট দেয়। খবর পেয়ে স্ত্রী তপতী অম্পিনগর থানার দ্বারস্থ হয় স্বামীকে ফিরে পাওয়ার জন্য। কিন্তু অম্পিনগর থানার পুলিশ নির্যাতিতা গৃহবধূকে উপদেশ দেয় মিসিং ডাইরি করার জন্য। পুলিশ প্রসেজিতকে উদ্ধার করার জন্য বা খুঁজে বের করে দেওয়ার জন্য কোন উদ্যোগই গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ স্ত্রী তপতির । পুলিশের এমন আচরণ নির্যাতিতা গৃহবধূ কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না। নির্যাতিতা গৃহবধূর অভিযোগ, স্বামী প্রসেনজিৎ দাস নিখোঁজ হয়নি। নাম ঠিকানা সহ সুমি ঘোষ এবং তার স্বামীর নামে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়ে অম্পিনগর থানার দ্বারস্থ হয় । কিন্তু কোন এক অজ্ঞাত কারনে অম্পিনগর থানার পুলিশ লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরও কোন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ তপতি দাসের।তবুও স্বামীকে ফিরে পেতে বার বার থানায় পুলিশ এর কাছে যাচ্ছেন এই অসহায় মহিলা।