মন্ত্রী হবার পর এই প্রথম শনিবার নিজ বিধানসভা কেন্দ্রে আসেন টিংকু রায়।এগারো মার্চ শনিবার সারা রাজ্যের সাথে ঊনকোটি জেলার জেলাসদর কৈলাসহরেও বিজয় মিছিল অনুস্টিত হয়। মন্ত্রী টিংকু রায়কে কাছে পেয়ে দলীয় কর্মী সমর্থকরা আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। শনিবার বেলা এগারোটায় মন্ত্রী টিংকু রায় নিজ বিধানসভা কেন্দ্রের ভগবান নগর এলাকায় অবস্থিত লক্ষীনারায়ন বাড়ি মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়ে মন্দির প্রাংগন থেকে খোলা গাড়িতে উঠে বাইক র্যালীতে যোগ দেন। বাইক র্যালীটি মন্দির প্রাংগন থেকে শুরু হয়ে চন্ডীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ভগবান নগর, গৌরনগর, চিরাকুটি, কীর্তনথলি, বিদ্যানগর, হয়ে কৈলাসহরের পাইতুরবাজার মোটরস্ট্যান্ডে আসেন। মোটরস্ট্যান্ডে এসে মন্ত্রী টিংকু রায়কে মোটরস্ট্যান্ডের বি.এম.এসের হলঘরে নিয়ে যায়। হলঘরে মন্ত্রী টিংকু রায়কে বি.এম.এসের পক্ষ থেকে সম্মাননা দেওয়া হয়। সন্মাননা দেওয়ার পর ফের মন্ত্রী টিংকু রায়কে খোলা গাড়িতে তোলে দলীয় কর্মী সমর্থকরা পায়ে হেটে মিছিল করে কৈলাসহর শহরের বিভিন্ন রাজপথ পরিক্রমা করে ফের চন্ডীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের শ্রীরামপুর এলাকা হয়ে চন্ডীপুর গ্রামে গিয়ে মিছিলটি সমাপ্ত হয়। মন্ত্রী টিংকু রায়ের সাথে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সদস্য বিমল কর, বিজেপি নেতা পিন্টু ঘোষ, বিজেপি নেতা মহিভূষন চক্রবর্তী, কৈলাসহর পুর পরিসদের চেয়ারপার্সন চপলা রানী দেবরায়, ঊনকোটি জেলা পরিসদের সহকারী সভাধিপতি শ্যামল দাস, বিজেপি কৈলাসহর মন্ডলের সভাপতি সিদ্ধার্থ দত্ত, আইনজীবী সন্দীপ দেবরায়, বিজেপি চন্ডীপুর মন্ডলের সভাপতি শ্যাম কুমার সিনহা, যুব মোর্চার ঊনকোটি জেলা কমিটির সভাপতি অরুপ ধর, যুব মোর্চা চন্ডীপুর মন্ডলের সভাপতি অমিও দাস, যুব নেতা নয়ন পাল সহ আরও অনেকে। বিজয় মিছিলে কয়েক হাজার দলীয় কর্মী সমর্থকরা হাজির ছিলেন। বিজয় মিছিলটি হোলি খেলায় রূপায়িত হয়। বিজয় মিছিল শেষে মন্ত্রী টিংকু রায় সংবাদ প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হয়ে জানান যে, মন্ত্রী হবার পর উনি এই প্রথমবার নিজ বিধানসভা কেন্দ্রে এসে যেভাবে দলীয় কর্মী সমর্থক উনাকে বরণ করেছেন তা উনি ভাবতেই পারেন নি। উনি দলীয় কর্মী সমর্থকদের ভালোবাসা পেয়ে উনি আপ্লুত এবং দলীয় কর্মী সমর্থকদের উনি উনার হ্রদয়ের অন্তস্তল থেকে ধন্যবাদ জানান। মন্ত্রী টিংকু রায় আরও বলেন যে, চন্ডীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অধীনে দশটি চা বাগান রয়েছে। সেই চা বাগানের শ্রমিকদের আর্থ সামাজিক অবস্থা খুবই খারাপ। এর জন্য দায়ী একমাত্র সি.পি.আই.এম দল। দীর্ঘ ২৫বছর সি.পি.আই.এম দলের সরকার থাকার পরও এই চা বাগানগুলোর শ্রমিকদের জন্য কিছুই করেনি। উনি এই চা বাগানগুলোর প্রতিটি শ্রমিকদের বাড়ি ঘর তৈরী করার জন্য জায়গা ব্যবস্থা করে বাড়ি ঘর নির্মান করে দেবার চেষ্টা করবেন এবং চা বাগান শ্রমিকদের সঠিক উন্নয়ন করে তাদের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতি করাবেন বলে মন্ত্রী টিংকু রায় জানান