।
ভোট গণনা পরবর্তী রাজনৈতিক সন্ত্রাসের বলি যুবরাজ নগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিলথৈ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চান্দপুর গ্রাম।
সম্পূর্ণ ধ্বংস স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে আছে গ্রামটি।
গ্রামের প্রায় ৯০% মানুষ রাবার শিল্পের উপর নির্ভরশীল। শুধুমাত্র সিপি আই এম করার অপরাধে সম্পূর্ণ গ্রামের মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আক্রান্ত। অমানবিক ধ্বংসলীলার সাক্ষী হয়ে রইল গ্রামটি।
পরেশ চন্দ্র নাথ, দেবাশীষ নাথ, দিপু নাথ, দিলীপ নাথ এবং ব্রজেন্দ্র নাথের ১৪ কানি জায়গায় প্রায় ১২০০ রাবার গাছ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এছাড়াও জনার্ধন চন্দ্র নাথের প্রায় দুই কানি জায়গার উপর আম জাম কাঁঠাল বাগান আগুনের শিখায় ধ্বংস হয়ে যায়।
প্রাকৃতিক সম্পদের নির্বিচারে ধ্বংসলীলার পরেও সরকার , রাবার বোর্ড , কৃষি দপ্তর কিংবা বনদপ্তরের পক্ষ থেকে কেউ প্রয়োজন মনে করেনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াবার কথা।
রাবার গাছ বিশেষজ্ঞদের পাঠিয়ে কিভাবে রাবার গাছ গুলোকে পুনরুজ্জীবিত করা যায় কিংবা বিকল্পের সন্ধান কি হবে ?
এই প্রশ্নে, পরামর্শ দিয়ে ,জীবন জীবিকার জন্য , কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে ,আয়ের উৎস মজবুত করে ,হতাশা থেকে ক্ষতিগ্রস্ত রাবার চাষীদের কিভাবে মুক্ত করা যায়, সেজন্য সরকারের কোন উদ্যোগ নেই।
পানিসাগর থানায় মামলা করা হলেও একজন অপরাধীকেও এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত রাবার চাষিরা সরকারি কোন ধরনের সাহায্য সহযোগিতা এখনো পায়নি ।
সিপিআই (এম ) উত্তর ত্রিপুরা জেলা কমিটির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে ,অবিলম্বে সরকার এবং শাসক দলকে রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে যথাসাধ্য আর্থিক সাহায্য করতে হবে।
ধ্বংসের কারিগর সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে।
ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি বাগানে রাবার গাছ বিশেষজ্ঞদের সরকারি উদ্যোগে পরিদর্শন করতে হবে। রাবার চাষীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সাহায্য করতে হবে।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।