আই টি টি এন্ট্রান্স পরীক্ষায় অল ইন্ডিয়া এন্ট্রান্সে রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে একেবারে হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান বিশ্বজিৎ দেবনাথ। বাবা প্যারালাইসিস রোগী । মা বিড়ি শ্রমিকের কাজ করে বর্তমানে প্রতিপালন করছেন সংসার।অদম্য ইচ্ছা শক্তি থাকলে যে দারিদ্রতাকেও হার মানানো যায়, এমনই একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বিশালগড় বিধানসভার তেবাড়িয়া এলাকায়। এত দরিদ্রতার মাঝেও বিশ্বজিৎ দেবনাথ নিজের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে অন্যান্য ছাত্রদের মত প্রাইভেট টিউশনে না গিয়ে ঘরে বসেই মোবাইলের মাধ্যমে পড়াশোনা করে আজ এই পর্যন্ত এসে দাঁড়িয়েছে। তার বাবা ললিত দেবনাথ একজন কৃষক ছিলেন। গত দুই মাস আগে প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় শয্যাশাযয়ী। সংসারের সমস্ত দায়িত্ব ছিল ললিত দেবনাথ এর উপর কিন্তু তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় পরিবারের আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় দিশাহীন হয়ে বিশ্বজিতের মা মনিকা দেবনাথ বিড়ি শ্রমিকের কাজ করে স্বামীর দেখাশোনা সহ ছেলে বিশ্বজিৎ এবং এক মেয়ের লেখাপড়ার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বিশ্বজিতের মা মনিকা দেবনাথ বিরি শ্রমিকের কাজ করে যা টাকা উপার্জন করে সেই টাকা সংসার খরচে লেগে যায়। বিশ্বজিৎ অক্লান্ত পরিশ্রম করে মাধ্যমিকে ৮৭ শতাংশ নম্বর এবং উচ্চ মাধ্যমিকে প্রতিটি সাবজেক্টে লেটার মার্ক পেয়েছে। বর্তমানে বিশ্বজিৎ দেবনাথ আই টি টি এন্ট্রান্স পরীক্ষায় ত্রিপুরা রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে।বিশ্বজিৎ আরো এগিয়ে যেতে চায় কিন্তু অর্থের অভাব বিশ্বজিতের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই বিশ্বজিৎ এবং তার মা রাজ্য সরকারের কাছে ছেলেকে আরো উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন। এখন দেখার সংবাদ পরিবেশিত হবার পর সরকার হতদরিদ্র বিশ্বজিতের দিকে কতটুকু মুখ তুলে তাকায়।