কৈলাসহরের সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা ও হয়রানি করা এবং ভুয়ো বিদ্যুৎ বিল প্রদান করা অব্যাহত রয়েছে বিদ্যুৎ পরিসেবা প্রদানকারী বেসরকারি সংস্থা ‘সাই কম্পিউটার’ সংস্থার পক্ষ থেকে। আবারও ভুয়ো বিদ্যুৎ বিলের গুরুতর অভিযোগ উঠলো কৈলাসহরের বিদ্যুৎ পরিসেবা প্রদানকারী বেসরকারি ‘সাই কম্পিউটার’ সংস্থার বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, বিগত তিন বছর ধরে কৈলাসহরের বিদ্যুৎ পরিসেবা প্রদান করে যাচ্ছে সাই কম্পিউটার সংস্থা। যেদিন থেকে সাই কম্পিউটার সংস্থা বিদ্যুৎ পরিসেবা প্রদানের দায়িত্ব নিয়েছে সেদিন থেকেই কৈলাসহরের বিদ্যুৎ পরিসেবার মান একেবারেই তলানিতে যায়। অবিলম্বে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের ভুমিকা নেওয়া নাহলে জনরোষের শিকার হবে বেসরকারি বিদ্যুৎ পরিসেবা প্রদানকারী ‘সাই কম্পিউটার’ সংস্থার কর্মীরা। উল্লেখ্য, কৈলাসহরের দেওরাছড়া এডিসি ভিলেজের চার নং ওয়ার্ডের কলাছড়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা হত দরিদ্র দিনমজুর শিমুল উরাং। অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল বি.পি.এল পরিবার ভুক্ত শিমুল উরাং নিজে দিনমজুরী করে এবং শিমুলের বড় ছেলে রাজমিস্ত্রীর কাজ করে পরিবার পরিচালনা করেন। দেওরাছড়া এডিসি ভিলেজের কলাছড়া গ্রামটি মুলত প্রত্যন্ত অঞ্চল হিসেবেই সবার কাছে পরিচিত। এই প্রত্যন্ত অঞ্চলের দেবস্থল চা বাগানের ভিতরে একটি মাত্র ঘরেই শিমুল উরাং-এর পরিবার বসবাস করে। শিমুল উরাং-এর টিনের ছাউনির একটি মাত্র ঘরটিও নিজেরাই তৈরি করেছে। শিমুল উরাং বিগত ত্রিশ বছর ধরে বৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আসছে। বেসরকারি বিদ্যুৎ পরিসেবা প্রদানকারী সাই কম্পিউটার সংস্থা কৈলাসহরের বিদ্যুৎ পরিসেবা প্রদানের দায়িত্ব পাবার পর থেকে বিগত সাড়ে তিন বছর ধরে গড়ে সাড়ে তিনশো টাকা থেকে সাড়ো পাঁচশো টাকা করে প্রতিমাসে শিমুল উরাং-এর বিদ্যুৎ বিল আসছে বলে শিমুল উরাং নিজেই জানান। হঠাৎ করে গত এপ্রিল মাসের বিদ্যুৎ বিল দশ হাজার টাকার উপর আসায় শিমুল উরাং হতভম্ব হয়ে যান। এত বিপুল পরিমান টাকা বিদ্যুৎ বিল আসার পর হতদরিদ্র শিমুল উরাং সাই কম্পিউটার সংস্থার কৈলাসহর শহরের অফিসে এসে সংস্থার আধিকারিকদের কাছে প্রশ্ন করেন যে, হঠাৎ করে এত বিপুল পরিমান টাকা বিদ্যুৎ বিল আসার কারণ কি? কিন্তু শিমুল উরাং-এর সাথে সাই কম্পিউটার সংস্থার আধিকারিকরা দুরব্যবহার করে। এমনকি শিমুল উরাং এই বিষয়ে সাই কম্পিউটার সংস্থার অফিসে চার পাঁচ দিন গিয়েছিলেন। কিন্তু যতদিনই সাই কম্পিউটার সংস্থার অফিসে গিয়েছেন ততোদিনই সাই কম্পিউটার সংস্থার আধিকারিকরা শিমুল উরাং-এর সাথে তীব্র দুরব্যবহার এবং অশ্লীল আচরণ করেছেন বলে শিমুল উরাং নিজেই জানান। অনেকটাই নিরুপায় হয়ে হতদরিদ্র শিমুল উরাং কৈলাসহর থানায় লিখিত ভাবে অভিযোগ জানালেও কৈলাসহর থানা কর্তৃপক্ষ শিমুল উরাং-এর অভিযোগ পত্র গ্রহণ করেনি। অসহায় নিরীহ দুঃস্থ শিমুল উরাং কোনো উপায় না পেয়ে কৈলাসহর প্রেসক্লাবের দারস্থ হন। কৈলাসহর প্রেসক্লাবের সদস্যরা শিমুল উরাংকে সাথে নিয়ে সাই কম্পিউটার সংস্থার অফিসে যাবার পর সংস্থার কর্মীরা নানান অজুহাত দেখিয়ে শিমুল উরাংকে অফিস থেকে বের করে দেন। শিমুল উরাং সাই কম্পিউটার সংস্থার বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগ করে বলেন যে, বিগত এক বছর পূর্বেও সাই কম্পিউটার সংস্থা শিমুল উরাং-এর কাছ ছয় হাজার টাকার বিদ্যুৎ বিল প্রদান করেছিলো। পরবর্তী সময়ে নানান তালবাহানা করে সাই কম্পিউটার সংস্থা শিমুল উরাং-এর কাছ থেকে সম্পুর্ন অন্যায় ভাবে কুড়ি হাজার টাকা আদায় করেছিলো। শিমুল উরাং আরও জানায় যে, কলাছড়া গ্রামের পাশে দেওরাছড়া গ্রামেও অনেকের ভুয়ো বিদ্যুৎ বিল দেওয়া হয়েছে